ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: মহেশখালী এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাতজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ অপহরণ-গুম মামলায় র‌্যাবের সাবেক পরিচালক সোহায়েল কারাগারে দাকোপে কোস্টগার্ডের মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশে সক্রিয় লঘুচাপ ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা ইসির ‘ব্যালট প্রকল্পে’ ২০ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া মিথ্যা দাবি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা: জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধ্যাদেশে বিধান উন্নয়ন প্রকল্পে নদীপ্রবাহ ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ক্যান্টনমেন্টে গোপন বৈঠক ও “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” পুনর্বাসনের অভিযোগ – হাসনাত আব্দুল্লাহর বিস্ফোরক পোস্ট

Oplus_131072

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক চাঞ্চল্যকর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যার মূল কারিগর ভারত।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, ১১ মার্চ দুপুর ২:৩০টায় ক্যান্টনমেন্টে একটি গোপন বৈঠকে তাকে ও আরও দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং কিছু দল শর্তসাপেক্ষে এই পরিকল্পনায় রাজি হয়েছে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করবে, শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।”

 

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানান, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয়, তাদের বিচার হওয়া উচিত।” তবে জবাবে ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক। ইনক্লুসিভ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, “যখন আমরা প্রশ্ন তুলি যে, যারা এখনো ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কীভাবে ক্ষমা করা যায়—তখন উত্তরে বলা হয়, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। আমরা ৪০ বছর ধরে এই সার্ভিসে আছি।’”

 

রাজপথে প্রতিরোধের ডাক

এই গোপন বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করার পর তার কী পরিণতি হতে পারে, সে বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লেখেন, “আজকের পোস্টের পর হয়তো আমাকে চাপের মুখে পড়তে হবে, বিপদেও পড়তে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।”

 

তিনি সবাইকে আবারও রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই—বরং তাদের নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই পোস্টের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই তথ্য সত্য হয়, তাহলে এটি দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।

জনপ্রিয়

‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি

ক্যান্টনমেন্টে গোপন বৈঠক ও “রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ” পুনর্বাসনের অভিযোগ – হাসনাত আব্দুল্লাহর বিস্ফোরক পোস্ট

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক চাঞ্চল্যকর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, যার মূল কারিগর ভারত।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর ভাষ্যমতে, ১১ মার্চ দুপুর ২:৩০টায় ক্যান্টনমেন্টে একটি গোপন বৈঠকে তাকে ও আরও দুই নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বৈঠকে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন ও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। বলা হয়, আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং কিছু দল শর্তসাপেক্ষে এই পরিকল্পনায় রাজি হয়েছে।

 

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ শেখ হাসিনাকে অস্বীকার করবে, শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে এবং বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।”

 

আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন চেষ্টার তীব্র বিরোধিতা

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং জানান, “আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নয়, তাদের বিচার হওয়া উচিত।” তবে জবাবে ক্যান্টনমেন্টের কর্মকর্তারা বলেন, “আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক। ইনক্লুসিভ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব নয়।”

 

তিনি আরও দাবি করেন, “যখন আমরা প্রশ্ন তুলি যে, যারা এখনো ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কীভাবে ক্ষমা করা যায়—তখন উত্তরে বলা হয়, ‘ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। আমরা ৪০ বছর ধরে এই সার্ভিসে আছি।’”

 

রাজপথে প্রতিরোধের ডাক

এই গোপন বৈঠকের তথ্য প্রকাশ করার পর তার কী পরিণতি হতে পারে, সে বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি লেখেন, “আজকের পোস্টের পর হয়তো আমাকে চাপের মুখে পড়তে হবে, বিপদেও পড়তে পারি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস নেই।”

 

তিনি সবাইকে আবারও রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোনো সুযোগ নেই—বরং তাদের নিষিদ্ধ করতেই হবে।”

 

হাসনাত আব্দুল্লাহর এই পোস্টের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি এই তথ্য সত্য হয়, তাহলে এটি দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে।