রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কোতয়ালী থানা পুলিশ। তারা হলো- মো. পারভেজ (২৬) ও মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮)। বুধবার সকালে ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে এ সময় তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ১১ আসামি হলেন- মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু, মো. পারভেজ ও মো. জহিরুল ইসলাম।
তাদের মধ্যে ১৭ জুলাই মনির, আলমগীর ও টিটন এবং ১৯ জুলাই আসামি সজীব ও ২০ জুলাই মহিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এছাড়া রিমান্ড শেষে রাজিব কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গেটের কাছে ৩৯ বছর বয়সী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। সোহাগ কেরানীগঞ্জের পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পুরান ঢাকার রানী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে।