ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: মহেশখালী এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাতজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ অপহরণ-গুম মামলায় র‌্যাবের সাবেক পরিচালক সোহায়েল কারাগারে দাকোপে কোস্টগার্ডের মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশে সক্রিয় লঘুচাপ ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা ইসির ‘ব্যালট প্রকল্পে’ ২০ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া মিথ্যা দাবি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা: জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধ্যাদেশে বিধান উন্নয়ন প্রকল্পে নদীপ্রবাহ ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, এখন পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানি

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি কৃষি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেরপুরের পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিজিবি। এ ছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে নালিতাবাড়ী সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছেন।

এদিকে, শনিবার সকাল থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মিরগী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।

নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধার ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।’

জনপ্রিয়

‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, এখন পর্যন্ত ৭ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত: ০১:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বেড়েছে জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই। পাশাপাশি কৃষি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শেরপুরের পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিজিবি। এ ছাড়া শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকে নালিতাবাড়ী সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছেন।

এদিকে, শনিবার সকাল থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় শেরপুরের মহারশি, সোমেশ্বরী, চেল্লাখালি, ভোগাই ও মিরগী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে শেরপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেরপুরের ৫টি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আর পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।

নকলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচ জন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের সঠিকভাবে উদ্ধার করতে সফল হয়েছি। অনেককে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উপজেলার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

বন্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘জেলার বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধার ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাচ্ছি।’