ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল ৪৪তম থেকে ৪৭তম বিসিএস: পিএসসির নতুন সময়সূচি প্রকাশ শেরপুর সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু “জুলাই-আগস্টে ঢাকায় আওয়ামী লীগের মৃত্যু, দাফন দিল্লিতে” — সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ৪ মে থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালু তোফায়েল আহমেদের মৃত্যুর খবর গুজব, তিনি সুস্থ আছেন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার ‘আপন কফি হাউজ’-এর সামনের মারধরের ঘটনায় তরুণীর খোঁজ মেলেনি, মামলা পুলিশের হালখাতার মতো রাষ্ট্রেরও নবায়ন হোক: এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলাম

সমন্বিত উদ্যোগে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের দৌরাত্ম্য

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সোনাদিয়া দ্বীপ আজ বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তন, অবৈধ দখল ও ১৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরির পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রয়েছে।

সোনাদিয়া দ্বীপে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের দখলবাজি চলছে। আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালে প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ শুরু করে, আর সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা দখল ধরে ঘের পরিচালনা করছে।

পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, প্যারাবন ধ্বংসের ফলে সোনাদিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে পড়ছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশন’-এর প্রধান এসএম রুবেল অভিযোগ করেছেন, ১৫ হাজার একরের বেশি প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হাইকোর্টে রিট করার পরও ঘের নির্মাণের জন্য এক্সকেভেটর চালানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৫০টি চিংড়িঘের তৈরিতে কেওড়া ও কালো বাইন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। দখলদারদের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা। পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দখলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

স্থানীয় প্রশাসন বনবিভাগের বিট অফিস পুনঃস্থাপনের কথা বলছে, তবে সেতু বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে অভিযান চালানো কঠিন হচ্ছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অভিযুক্ত নেতারা একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

জনপ্রিয়

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন প্রস্তাব দিলো ইসরায়েল

সমন্বিত উদ্যোগে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সোনাদিয়া দ্বীপ আজ বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তন, অবৈধ দখল ও ১৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরির পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রয়েছে।

সোনাদিয়া দ্বীপে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের দখলবাজি চলছে। আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালে প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ শুরু করে, আর সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা দখল ধরে ঘের পরিচালনা করছে।

পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, প্যারাবন ধ্বংসের ফলে সোনাদিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে পড়ছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশন’-এর প্রধান এসএম রুবেল অভিযোগ করেছেন, ১৫ হাজার একরের বেশি প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হাইকোর্টে রিট করার পরও ঘের নির্মাণের জন্য এক্সকেভেটর চালানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৫০টি চিংড়িঘের তৈরিতে কেওড়া ও কালো বাইন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। দখলদারদের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা। পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দখলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

স্থানীয় প্রশাসন বনবিভাগের বিট অফিস পুনঃস্থাপনের কথা বলছে, তবে সেতু বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে অভিযান চালানো কঠিন হচ্ছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অভিযুক্ত নেতারা একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।