ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

টেকনাফে আবারও অপহরণ, এখনও নিখোঁজ ৩ শ্রমিক

কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা ছয় শ্রমিকের মধ্যে তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাকিরা এখনও নিখোঁজ।

 

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টারে দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর রুটের বাহারছড়া ঢালায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. দস্তগীর হোসেন।

 

তবে অপহৃতদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দস্তগীর হোসেন বলেন, সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং স্টেশন থেকে ট্রাক যোগে সাত-আট জন শ্রমিক শামলাপুর যাচ্ছিল। ট্রাকটি বাহারছড়া ঢালায় পৌঁছলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী একদল অস্ত্রের মুখে গাড়িটি থামায়। পরে গাড়িতে থাকা সহকারিসহ ছয় শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

 

খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ অভিযান শুরু করলে তিন জনকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তবে বাকি তিন জনের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে বলেও জানান দস্তগীর হোসেন।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছর দুই মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।

 

টেকনাফ থানার তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে ১৩ টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা অন্তত ৬০। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ জনকে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ অক্টোবর কারখানাটির স্ক্র্যাপ লোহার স্তূপে বোমা সদৃশ তিনটি বস্তু পাওয়া যায়। সেই সময়ও কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে থানা-পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দিলে তাঁরা বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি তিনটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় বোমা সদৃশ বস্তু তিনটিতে কোনো বিস্ফোরক নেই বলে নিশ্চিত হন তাঁরা।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

টেকনাফে আবারও অপহরণ, এখনও নিখোঁজ ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা ছয় শ্রমিকের মধ্যে তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাকিরা এখনও নিখোঁজ।

 

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টারে দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর রুটের বাহারছড়া ঢালায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. দস্তগীর হোসেন।

 

তবে অপহৃতদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দস্তগীর হোসেন বলেন, সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং স্টেশন থেকে ট্রাক যোগে সাত-আট জন শ্রমিক শামলাপুর যাচ্ছিল। ট্রাকটি বাহারছড়া ঢালায় পৌঁছলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসী একদল অস্ত্রের মুখে গাড়িটি থামায়। পরে গাড়িতে থাকা সহকারিসহ ছয় শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

 

খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ অভিযান শুরু করলে তিন জনকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তবে বাকি তিন জনের কোনও খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে বলেও জানান দস্তগীর হোসেন।

 

কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছর দুই মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪৩ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ৮৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, ৫৬জন রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬৯ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।

 

টেকনাফ থানার তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট থেকে নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত টেকনাফ থানায় অপহরণের মামলা হয়েছে ১৩ টি। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা অন্তত ৬০। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৫ জনকে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ৪ অক্টোবর কারখানাটির স্ক্র্যাপ লোহার স্তূপে বোমা সদৃশ তিনটি বস্তু পাওয়া যায়। সেই সময়ও কারখানা কর্তৃপক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে থানা-পুলিশ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটকে খবর দিলে তাঁরা বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি তিনটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় বোমা সদৃশ বস্তু তিনটিতে কোনো বিস্ফোরক নেই বলে নিশ্চিত হন তাঁরা।