ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বিদেশে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে: প্রেস সচিব কাতারের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে: নারী অধিকার আন্দোলন সংবাদপত্র প্রকাশে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মেজর সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত চাঁদপুর পৌরসভার তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে দেশের ৬ বিভাগে টানা তিন দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ল ১০ হাজার টাকার বেশি নোয়াখালীতে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্বে অবহেলা, ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি

ভারতের গুজরাটে কৃষকদের আয়ের উৎস গরুর মূত্র!গোমূত্র দিয়ে সাবান, শ্যাম্পু ও অন্যান্য ভেষজ ঔষধি পণ্য তৈরি

Screenshot

ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি গ্রামে শুরু হওয়া গোমূত্র ব্যাংক কৃষকদের জন্য এক অভিনব আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকেরা তাদের গরুর মূত্র সংগ্রহ করে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও গোমূত্রভিত্তিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে চলেছে, যা এই উদ্যোগটির সাফল্যকে আরও প্রশংসিত করেছে।

গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক কৃষি এবং ভেষজ চিকিৎসায় গোমূত্রের ব্যবহারের গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যাংকটি কৃষকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে গোমূত্র সংগ্রহ করে এবং তা প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন জৈব সার, কীটনাশক, সাবান, শ্যাম্পু ও অন্যান্য ভেষজ পণ্য তৈরি করে।

গোমূত্র ব্যাংকের কার্যক্রম খুবই সহজ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কৃষকেরা তাদের গরুর মূত্র ব্যাংকে জমা দেন এবং এর জন্য তারা নির্দিষ্ট অর্থ পান। ব্যাংকটি গোমূত্রকে পরিশোধন করে পরিবেশবান্ধব নানা পণ্য উৎপাদন করে। এই পণ্যগুলো, যেমন জৈব সার এবং কীটনাশক, বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে যেখানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।

গুজরাটের এক কৃষক জানান, “গোমূত্র ব্যাংক আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এটি আমাদের আয়ের একটি নতুন উৎস তৈরি করেছে এবং গরু পালনের খরচও সহজেই মেটাতে পারছি।”

গুজরাটে গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্পের সাফল্যের পর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও গোমূত্রভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমনকি অনলাইনে এসব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত শহরাঞ্চলে যেখানে মানুষ পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য খোঁজে।

এই ধরনের উদ্যোগ শুধু কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশ সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গোমূত্রের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যগুলি জৈব এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায়, এটি ভারতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে।

গোমূত্র ব্যাংক ইতিমধ্যেই গুজরাটের স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে এই প্রকল্প সারা দেশে ব্যাপক প্রসার লাভ করতে পারে। কৃষকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হওয়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুজরাটের গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্প কৃষকদের জন্য শুধু আয়ের একটি নতুন পথ নয়, এটি তাদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তনের সূচনা করেছে।

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের সঙ্গে গভর্নর ইউবোর বৈঠক: চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি

ভারতের গুজরাটে কৃষকদের আয়ের উৎস গরুর মূত্র!গোমূত্র দিয়ে সাবান, শ্যাম্পু ও অন্যান্য ভেষজ ঔষধি পণ্য তৈরি

প্রকাশিত: ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি গ্রামে শুরু হওয়া গোমূত্র ব্যাংক কৃষকদের জন্য এক অভিনব আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকেরা তাদের গরুর মূত্র সংগ্রহ করে বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন। ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও গোমূত্রভিত্তিক পণ্যের চাহিদা বেড়ে চলেছে, যা এই উদ্যোগটির সাফল্যকে আরও প্রশংসিত করেছে।

গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক কৃষি এবং ভেষজ চিকিৎসায় গোমূত্রের ব্যবহারের গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যাংকটি কৃষকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট মূল্যে গোমূত্র সংগ্রহ করে এবং তা প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন জৈব সার, কীটনাশক, সাবান, শ্যাম্পু ও অন্যান্য ভেষজ পণ্য তৈরি করে।

গোমূত্র ব্যাংকের কার্যক্রম খুবই সহজ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে কৃষকেরা তাদের গরুর মূত্র ব্যাংকে জমা দেন এবং এর জন্য তারা নির্দিষ্ট অর্থ পান। ব্যাংকটি গোমূত্রকে পরিশোধন করে পরিবেশবান্ধব নানা পণ্য উৎপাদন করে। এই পণ্যগুলো, যেমন জৈব সার এবং কীটনাশক, বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে যেখানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের মধ্যে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়েছে।

গুজরাটের এক কৃষক জানান, “গোমূত্র ব্যাংক আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এটি আমাদের আয়ের একটি নতুন উৎস তৈরি করেছে এবং গরু পালনের খরচও সহজেই মেটাতে পারছি।”

গুজরাটে গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্পের সাফল্যের পর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও গোমূত্রভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এমনকি অনলাইনে এসব পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত শহরাঞ্চলে যেখানে মানুষ পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর পণ্য খোঁজে।

এই ধরনের উদ্যোগ শুধু কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশ সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গোমূত্রের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্যগুলি জৈব এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায়, এটি ভারতে টেকসই কৃষি ব্যবস্থার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে।

গোমূত্র ব্যাংক ইতিমধ্যেই গুজরাটের স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সরকারি সহযোগিতা পেলে এই প্রকল্প সারা দেশে ব্যাপক প্রসার লাভ করতে পারে। কৃষকদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হওয়া এই প্রকল্প ভবিষ্যতে ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গুজরাটের গোমূত্র ব্যাংক প্রকল্প কৃষকদের জন্য শুধু আয়ের একটি নতুন পথ নয়, এটি তাদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তনের সূচনা করেছে।