নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। হেমন্তের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে শীত জানান দিচ্ছে তার উপস্থিতি। দিনের বেলা সূর্যের তাপ থাকলেও সন্ধ্যা নামতেই শীতের প্রকোপ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। হালকা কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় বিমান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকে ভিজিবিলিটি মাত্র ৫০০ মিটারে নেমে আসে, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি ঘটবে।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাতভর পড়া কুয়াশায় রাস্তা ও গাছপালা ভিজে গেছে। গাছের পাতা, ফসলের খেত আর ঘাসের ওপর জমে থাকা শিশিরের বিন্দু টপটপ করে ঝরছে। কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। শীতের কাপড় জড়িয়ে কর্মজীবী মানুষ ছুটছে কাজের সন্ধানে।
এক রিকশাচালক বলেন, “শীত আস্তে আস্তে বাড়তেছে। রাইত বেশি ঠান্ডা লাগে। ঠান্ডা বেশি হলে আমাদের মতো মানুষের আয় রোজগার কমে যায়।”
শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু-আল-হাজ্জাজ বলেন, “গত কয়েকদিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ বেড়েছে। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠান্ডা লাগানো একেবারেই এড়াতে হবে।”
চিকিৎসকরা শীত মোকাবিলায় সবাইকে গরম কাপড় পরা, নিয়মিত গরম পানি পান করা, এবং প্রয়োজন ছাড়া সকালে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
নীলফামারীর শীত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি শীতের প্রভাব নিয়ে এসেছে জীবনের নানা দিক। তাই সবাইকে সুরক্ষিত থাকতে হবে এবং শীতের সঙ্গে মানিয়ে চলার প্রস্তুতি নিতে হবে।