ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট: মহেশখালী এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হলি আর্টিজান হামলা মামলায় সাতজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করল বিএসএফ অপহরণ-গুম মামলায় র‌্যাবের সাবেক পরিচালক সোহায়েল কারাগারে দাকোপে কোস্টগার্ডের মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশে সক্রিয় লঘুচাপ ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা ইসির ‘ব্যালট প্রকল্পে’ ২০ লাখ ডলার সহায়তা দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া মিথ্যা দাবি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা: জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধ্যাদেশে বিধান উন্নয়ন প্রকল্পে নদীপ্রবাহ ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছিল হাসিনা সরকার: জিএম কাদের

স্বেচ্ছায় নয়, বরং জোর করে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছিল হাসিনা সরকার— এমনই দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। উক্ত সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার জোর করে নির্বাচনে এনেছিল।” জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলন হয়।

 

জিএম কাদের বলেন, “একটি গোষ্ঠী অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর, এসবের অপবাদের সত্যতা নেই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে, এসবের সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবীও জড়িত।”

 

 

তিনি বলেন, “আমাদেরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর? কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম।

 

তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগিদার হবো কেন? সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।”

 

 

জাতীয় পাার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে জি এম কাদের বলেন, ‘’সরকার যেমন নির্বাচনে যেতে চাপ দিত, তেমনি অন্যদিক থেকেও জোর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘’২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাই আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৪ ও ’২৪-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিল।

 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই কেন অপরাধ হবে? সাংবিধানিক অধিকার এটা। শেষ ৩টি নির্বাচন নিয়ে তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।”

 

 

বিএনপি-আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা ও দলীয় বিভক্তির রাজনীতির শিকার জাতীয় পার্টি হয়েছে বলেও দাবি করেন জি এম কাদের।

 

 

উল্লেখ্য, পড়শু বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপর সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় জাপা অফিসে হামলার ঘটনায় দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ শানু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আহত হন।

জনপ্রিয়

‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনে একমত এনসিপি ও এবি পার্টি

জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করেছিল হাসিনা সরকার: জিএম কাদের

প্রকাশিত: ০১:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

স্বেচ্ছায় নয়, বরং জোর করে নির্বাচনে আসতে বাধ্য করেছিল হাসিনা সরকার— এমনই দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। উক্ত সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “২০২৪ সালে জাতীয় পার্টিকে হাসিনা সরকার জোর করে নির্বাচনে এনেছিল।” জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এই জরুরি সংবাদ সম্মেলন হয়।

 

জিএম কাদের বলেন, “একটি গোষ্ঠী অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করছে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর, এসবের অপবাদের সত্যতা নেই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র চলছে, এসবের সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবীও জড়িত।”

 

 

তিনি বলেন, “আমাদেরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দোসর? কীভাবে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনার সরকারে আমি মন্ত্রী ছিলাম।

 

তাই বলে আমরা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ ও অন্যায়ের ভাগিদার হবো কেন? সেই সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী থাকাকালে হজযাত্রীদের খারাপ বিমানে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রতিবাদে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলাম।”

 

 

জাতীয় পাার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ সম্পর্কে জি এম কাদের বলেন, ‘’সরকার যেমন নির্বাচনে যেতে চাপ দিত, তেমনি অন্যদিক থেকেও জোর করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”

 

 

তিনি আরো বলেন, ‘’২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সবাই আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছিল। ২০১৪ ও ’২৪-এর নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে জোর করে নির্বাচন করতে বাধ্য করেছিল।

 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই কেন অপরাধ হবে? সাংবিধানিক অধিকার এটা। শেষ ৩টি নির্বাচন নিয়ে তথ্য ও ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে।”

 

 

বিএনপি-আওয়ামী লীগের হামলা, মামলা ও দলীয় বিভক্তির রাজনীতির শিকার জাতীয় পার্টি হয়েছে বলেও দাবি করেন জি এম কাদের।

 

 

উল্লেখ্য, পড়শু বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপর সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় জাপা অফিসে হামলার ঘটনায় দলটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি সানাউল্লাহ শানু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম আহত হন।