২০২৫ সালের হজ পালনকালে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৬ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। সর্বশেষ গতকাল (১৯ জুন) গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন (৬৮) মারা যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শুক্রবার (২০ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ২৩ জন, মদিনায় ১১ জন, আরাফায় ১ জন এবং জেদ্দায় ১ জন।
পোর্টাল সূত্রে জানা যায়, হজে গিয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে গত ২৯ এপ্রিল, রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০)-এর মাধ্যমে। এরপর একে একে বিভিন্ন জেলার আরও অনেক হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে রয়েছেন:
-
কিশোরগঞ্জের মো. ফরিদুজ্জামান (২ মে)
-
পঞ্চগড়ের আল হামিদা বানু (৫ মে)
-
ঢাকার মো. শাহজাহান কবির (৭ মে)
-
জামালপুরের হাফেজ উদ্দিন (৯ মে)
-
নীলফামারীর বয়েজ উদ্দিন (১০ মে)
-
চট্টগ্রামের মো. অহিদুর রহমান (১৪ মে)
-
গাজীপুরের মো. জয়নাল হোসেন (১৭ মে)
-
চাঁদপুরের আ. হান্নান মোল্লা (১৯ মে)
-
রংপুরের মো. সাহেব উদ্দিন (২৪ মে)
-
চাঁদপুরের বশির হোসাইন (২৫ মে)
-
জয়পুরহাটের মো. মোস্তাফিজুর রহমান (২৯ মে)
-
মাদারীপুরের মোজলেম হাওলাদার (২৯ মে)
-
গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ (২৯ মে)
-
নওগাঁর মো. আবুল হোসেন (৩১ মে)
-
গাজীপুরের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান ও নীলফামারীর মো. জাহিদুল ইসলাম (১ জুন)
-
ঢাকার মনোয়ারা বেগম মুনিয়া (৫ জুন)
-
খুলনার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম (৬ জুন)
-
নোয়াখালীর মো. মুজিব উল্যা (৭ জুন)
-
গাইবান্ধার এ টি এম খায়রুল বাসার (৯ জুন)
-
সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা (১০ জুন)
১২ জুন একদিনেই মারা যান পাঁচজন হজযাত্রী, এরপর ১৪ জুন, ১৬ জুন, ১৭ জুন ও ১৮ জুনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
হজ মিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ২৭০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং বর্তমানে সেখানে ভর্তি রয়েছেন ২৫ জন।
সৌদি আরবের আইনে, হজ পালন করতে এসে কেউ মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। কোনোভাবেই মরদেহ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয় না, এমনকি পরিবারের আপত্তিও গ্রাহ্য হয় না।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৮০ হাজারের বেশি মানুষ হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়েছেন। হজযাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের হজ মিশন একসঙ্গে কাজ করছে।
সূত্র: ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ পোর্টাল, বিবিসি বাংলা।