আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেসরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আপনারা এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন, যার ভিত্তি আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নৈতিকতাভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কেবল উচ্চশিক্ষা প্রদান নয়, বরং একটি দায়িত্বশীল, চিন্তাশীল ও মানবিক প্রজন্ম গড়ে তোলা। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেসরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত।
বুধবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, এই সমাবর্তন শুধু একটি সনদ গ্রহণের মুহূর্ত নয়, বরং এটি একটি দিকনির্দেশনা যা আপনাদের পরবর্তী জীবনের পথপ্রদর্শক হবে। জীবনের পরবর্তী পর্যায়ে, যখন আপনি নতুন দিক ও নতুন পৃথিবীতে পদার্পণ করবেন, তখন আপনার সামনে আরও বড় বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। তবে মনে রাখবেন, যতই বড় বাধাই আসুক না কেন, সেগুলো কাটিয়ে উঠতে আপনার যে শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে, তা আপনাকে কখনো হতাশ হতে দেবে না। আপনার মধ্যে রয়েছে সেই শক্তি, যেটি আপনাকে প্রতিটি পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল হক বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু দেশের গণ্ডিতেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নিজেদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন। বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, বৈশ্বিক প্রযুক্তি সংস্থা, আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সংস্থায় আমাদের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন। তারা আমাদের গর্বিত করেছে, আর আপনারাও পারবেন —এই বিশ্বাস আমি রাখি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তনে সম্মান শ্রেণির জন্য ৮ হাজার ৪৭১ জন এবং মাস্টার্স শ্রেণির জন্য এক হাজার ৬১ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) অধ্যাপক ড. মো. শাফিউল আলম প্রমুখ।