ঢাকা , সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালঘর ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে আগামীকাল পুলিশের উপর রিকশাচালকদের হামলায় আরও ৪জন গ্রেপ্তার বাঁশখালীতে এস আলমের হাজার কোটি টাকার জমি জব্দের আদেশ চুয়েটের ছাত্র শান্ত-তৌফিক মৃত্যুর ১ বছর : থেমেছে কি মৃত্যুর আর্তনাদ? পাকিস্তানে ব্যাপক গোলাগুলি, সেনা সদস্যসহ ১৭ জন নিহত উত্তেজনা বাড়ালে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না: হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের বাংলাদেশিদের সহজে ভিসা দিতে আমিরাতের সঙ্গে আলোচনা চলছে সিলেট থেকে পণ্য নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে উড়াল দিলো কার্গো প্লেন কাশ্মিরে ‘ইসরায়েলি কায়দায়’ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা

লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা, যা বললেন শেহবাজ

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশন। হামলার ফলে ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং সাদা দেয়ালে ও নামফলকে গেরুয়া রঙের পেইন্ট ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ‘নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলা করেছে ভারতীয় প্রবাসীরা। এ সময় তারা হাইকমিশনের বিল্ডিংয়ের কাঁচ ভেঙে ফেলেছে। এরপর এর ভেতর দিয়ে লাল রঙ নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মেট্রোপলিটন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে।

লন্ডনে ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যার একদিন আগে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারী পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দু’জনকে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়।

এদিকে, ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের জবাবে পাকিস্তানের সমর্থনে পাল্টা বিক্ষোভকারীরাও ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এছাড়া পাকিস্তানের হাতে ২০১৯ সালে আটক ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানের ছবি এবং ‘চা ও কাপ’-এর প্রতীকী চিত্রও প্রদর্শিত হয়। এই চিত্র মূলত পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন সুইফট রিটোর্ট’-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

ব্রিটেনে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কমিউনিটি মূলত দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে বিভক্ত। বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রদায়িক সংঘাত নিয়ে। এছাড়া দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যখন বাড়ে, তখন ব্রিটেনে বসবাসকারী দুই কমিউনিটির মধ্যেও তা ছায়া ফেলে।

লন্ডনের এই সাম্প্রতিক ঘটনা দেখিয়েছে যে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন কেবল উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা বিশ্বব্যাপী প্রবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনা সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যেখানে দুপক্ষই নিজেদের বক্তব্য প্রকাশে রাজপথে নেমে আসে এবং তা কখনো কখনো সহিংসতায় রূপ নেয়।

এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ‘নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এ ধরনের যে কোনো তদন্তে ইসলামাবাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার পাকিস্তানের সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে পেহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র আছে দাবি করে ভারতের যে অভিযোগ, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অভিহিত করা হয়েছে।

জনপ্রিয়

বাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ডে গোয়ালঘর ও গবাদি পশু পুড়ে ছাই

লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশনে হামলা, যা বললেন শেহবাজ

প্রকাশিত: ৯ ঘন্টা আগে

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি হামলার শিকার হয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশন। হামলার ফলে ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং সাদা দেয়ালে ও নামফলকে গেরুয়া রঙের পেইন্ট ছিটিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তান দূতাবাসে হামলার এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ‘নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে অবস্থিত পাকিস্তানি হাইকমিশনে হামলা করেছে ভারতীয় প্রবাসীরা। এ সময় তারা হাইকমিশনের বিল্ডিংয়ের কাঁচ ভেঙে ফেলেছে। এরপর এর ভেতর দিয়ে লাল রঙ নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় মেট্রোপলিটন পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে।

লন্ডনে ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটল, যার একদিন আগে শত শত ভারতীয় বিক্ষোভকারী পাকিস্তানি হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ করে। ওই বিক্ষোভ চলাকালে দু’জনকে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারও করা হয়।

এদিকে, ভারতীয় বিক্ষোভকারীদের জবাবে পাকিস্তানের সমর্থনে পাল্টা বিক্ষোভকারীরাও ওই সময় উপস্থিত ছিলেন। পাল্টা বিক্ষোভকারীরা কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এছাড়া পাকিস্তানের হাতে ২০১৯ সালে আটক ভারতীয় বৈমানিক অভিনন্দন বর্তমানের ছবি এবং ‘চা ও কাপ’-এর প্রতীকী চিত্রও প্রদর্শিত হয়। এই চিত্র মূলত পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ‘অপারেশন সুইফট রিটোর্ট’-এর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

ব্রিটেনে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কমিউনিটি মূলত দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক ইস্যুতে বিভক্ত। বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যু, সাম্প্রদায়িক সংঘাত নিয়ে। এছাড়া দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যখন বাড়ে, তখন ব্রিটেনে বসবাসকারী দুই কমিউনিটির মধ্যেও তা ছায়া ফেলে।

লন্ডনের এই সাম্প্রতিক ঘটনা দেখিয়েছে যে, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন কেবল উপমহাদেশেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা বিশ্বব্যাপী প্রবাসী কমিউনিটিগুলোর মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এই উত্তেজনা সামাজিক অস্থিরতার ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যেখানে দুপক্ষই নিজেদের বক্তব্য প্রকাশে রাজপথে নেমে আসে এবং তা কখনো কখনো সহিংসতায় রূপ নেয়।

এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ‘নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এ ধরনের যে কোনো তদন্তে ইসলামাবাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার পাকিস্তানের সিনেট সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস করে পেহেলগাম হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের যোগসূত্র আছে দাবি করে ভারতের যে অভিযোগ, তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অভিহিত করা হয়েছে।