ঢাকা , সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন কারাগার থেকেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন ইমরান খান বন্দর প্রতিরক্ষা জোরদারে সমুদ্রে পাকিস্তান নৌবাহিনীর মহড়া গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বিদ্যুৎ খাতে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে আফগানিস্তান, নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন বিএসএফ যেন আর পুশইন না করে, কড়া বার্তা বিজিবির ২০২৫-২৬ বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে সোমবার থেকে ১১ ব্যাংকে মিলবে নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকার নোট চীন বাংলাদেশকে কৃষি ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে : সফররত চীনা বাণিজ্যমন্ত্রী

পুনরায় গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

গাজা উপত্যকায় পুনরায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

আজ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলার ফলে শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

এতে বলা হয়েছে যে, নতুন করে এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞার প্রতিফলন।

বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে, যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করার, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এছাড়াও, বাংলাদেশ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ে এর নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে পুনরায় সংলাপ শুরু করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি।

বাংলাদেশ সকল পক্ষকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহত অর্থহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতির পথ ও শান্তিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা, জাতিসংঘ প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশ্নের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জনপ্রিয়

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন

পুনরায় গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

গাজা উপত্যকায় পুনরায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন শুরু করায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

আজ এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই হামলার ফলে শিশু ও নারীসহ নিরীহ বেসামরিক মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে এবং এই অঞ্চলে ইতোমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

এতে বলা হয়েছে যে, নতুন করে এই সহিংসতা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রতিষ্ঠিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি গুরুতর অবজ্ঞার প্রতিফলন।

বাংলাদেশ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত নির্বিচার বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে, যা মানবিক দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং অসহায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সকল সামরিক অভিযান বন্ধ করার, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করার এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতাগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার আহ্বান জানিয়েছে।’

এছাড়াও, বাংলাদেশ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে, বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে এবং গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা নিরবচ্ছিন্নভাবে পৌঁছে দিতে জরুরি ও সিদ্ধান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার বিষয়ে এর নীতিগত অবস্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের বৈধ অধিকারের প্রতি তার অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্ত বরাবর একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপক, ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে পুনরায় সংলাপ শুরু করার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি।

বাংলাদেশ সকল পক্ষকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর অব্যাহত অর্থহীন সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতির পথ ও শান্তিপূর্ণ উপায় অবলম্বন করার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালা, জাতিসংঘ প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিলিস্তিনি প্রশ্নের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।