রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রীর নাম সরাতে পুলিশের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলায় গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী অমিত বণিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালত-১ এর বিচারক সোয়েবুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালতে অমিত বণিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহফুজ-উন-নবী ডন, অ্যাডভোকেট মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট মো. বাইজিদ ওসমানী, অ্যাডভোকেট মো. কাউছার আলী, জামায়াতের রোকন অ্যাডভোকেট মো. মোফাজ্জল হোসেন (বকুল), অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম (মুকুল), অ্যাডভোকেট সাবরিনা কাশেম, অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম মন্ডল, অ্যাডভোকেট মো. আহসানুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট সিপন সাহাসহ ২৫ জন আইনজীবী।
আদালত উভয়পক্ষের শুনানী শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ অমিত বণিককে গ্রেপ্তার করে মহানগর পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টা মামলার ১৭৯ নম্বর আসামি লিপি খান ভরসাকে মামলা থেকে নাম বাদ দেওয়া এবং সুরক্ষার জন্য পুলিশের তৎকালীন উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সারের নামে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেন পলাশ হাসান নামের এক ব্যক্তি।
মামলার বাদী পলাশ হাসানকে থানায় নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা শিবলী কায়সার কর্তৃক মারধোর ও পুলিশের রাইফেল কেড়ে নিয়ে গুলি করতে যাওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করে। এর পর শনিবার (১৫ মার্চ) উপ-পুলিশ কমিশনার শিবলীকে রংপুর মহানগর থেকে প্রত্যাহার করে সদর দপ্তরে পাঠানো হয়।
এই মামলায় গতকাল (১৬ মার্চ) ঢাকার গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লিপি খান ভরসাকে।