কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে ইফতারে অংশ নিয়েছেন ৩৩টি ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে এই ইফতার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নবী নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, “এটা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের মুহূর্ত, যেখানে আমরা সরাসরি জাতিসংঘের মহাসচিব ও বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একত্রে ইফতার করতে পারা।”
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, “প্রতি বছর রমজানে জাতিসংঘের মহাসচিব কোনো না কোনো দেশে গিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে ইফতার করেন। সৌভাগ্যবশত, এটি এবার বাংলাদেশে হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব দুস্থ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করলেন এবং এর মাধ্যমে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, বিশ্বের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এবং তাদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন।”
ক্যাম্পের বিভিন্ন স্থান থেকে দুপুরের পর থেকে রোহিঙ্গারা একে একে ইফতারের জন্য নির্ধারিত স্থানে আসতে থাকেন। প্রায় লাখের অধিক রোহিঙ্গা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এ ইফতারে অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে একটি বিশেষ বিমানযোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় তাদের স্বাগত জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক। এসময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার সাইফউদ্দিন শাহীনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে সম্প্রসারণ ও বর্ধিতকরণের কাজ পরিদর্শন করেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন বিয়াম ফাউন্ডেশনে যান।
এরপর প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। জাতিসংঘ মহাসচিব বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) একটি লার্নিং সেন্টার, ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপির সেবা ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, তরুণ ও নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক তিনটি বৈঠকে কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা ও তাদের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও স্থানীয় জনগণের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। জাতিসংঘ মহাসচিব বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) একটি লার্নিং সেন্টার, ইউএনএইচসিআর এবং ডব্লিউএফপির সেবা ও ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা, তরুণ ও নারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক তিনটি বৈঠকে কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
এই সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা ও তাদের জন্য বাংলাদেশের সরকার ও স্থানীয় জনগণের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।