ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

আমরণ অনশনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৮৭ কর্মচারী

চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অস্থায়ী ২৮৭ জন কর্মচারী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে আন্দোলনরত কর্মচারীরা খনির অভ্যন্তরে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

ইতোপূর্বে তারা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের মতো খনিতে বেতনবৈষম্য, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, ওভারটাইম ও উৎসব বোনাস, নৈমিত্তিক ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কর্মবিরতি শুরু করে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের দাবির প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা শুক্রবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

 

শুক্রবার বিকাল ৪টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি গেটে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের প্রতিনিধি আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তারা ১৫-২০ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। কিন্তু স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় তাদের নানা সুবিধা, যেমন- বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা এবং উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে ঝুলিয়ে রেখে একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে চাকরি করলেও স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা।

 

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ওভারটাইম, উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাতিল করা হয়। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েন খনির অস্থায়ী ২৮৭ কর্মচারী। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হলে আশার আলো জাগে কর্মচারীদের মনে। তারা বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ঢাকায় আন্দোলন করেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ বৈষম্য বিবেচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলন শিথিল করে কাজে যোগ দেয়। কিন্তু ৬ মাসেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামেন কর্মচারীরা।

 

সেই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন; কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ না থাকায় এক দফা দাবি ‘চাকরি স্থায়ীকরণ’ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আমরণ অনশন শুরু করেছেন।

 

এ ব্যাপারে খনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানা উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, এ সমস্যা সারা দেশের। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যা সিদ্ধান্ত আসবে আমরা তাই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। এককভাবে আমাদের কিছু করার নেই।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

আমরণ অনশনে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৮৭ কর্মচারী

প্রকাশিত: ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির অস্থায়ী ২৮৭ জন কর্মচারী আমরণ অনশন শুরু করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে আন্দোলনরত কর্মচারীরা খনির অভ্যন্তরে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

ইতোপূর্বে তারা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের মতো খনিতে বেতনবৈষম্য, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, ওভারটাইম ও উৎসব বোনাস, নৈমিত্তিক ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে কর্মবিরতি শুরু করে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের দাবির প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তারা শুক্রবার সকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

 

শুক্রবার বিকাল ৪টায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি গেটে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের প্রতিনিধি আশরাফুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তারা ১৫-২০ বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। কিন্তু স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় তাদের নানা সুবিধা, যেমন- বেতন, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা এবং উৎসব ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। একই সঙ্গে তাদের চাকরি স্থায়ীকরণ বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন থেকে ঝুলিয়ে রেখে একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে চাকরি করলেও স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা।

 

তিনি বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ওভারটাইম, উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাতিল করা হয়। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েন খনির অস্থায়ী ২৮৭ কর্মচারী। এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হলে আশার আলো জাগে কর্মচারীদের মনে। তারা বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ঢাকায় আন্দোলন করেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ বৈষম্য বিবেচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলন শিথিল করে কাজে যোগ দেয়। কিন্তু ৬ মাসেও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামেন কর্মচারীরা।

 

সেই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন; কিন্তু এতে কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ না থাকায় এক দফা দাবি ‘চাকরি স্থায়ীকরণ’ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ আমরণ অনশন শুরু করেছেন।

 

এ ব্যাপারে খনির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ ছানা উল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, এ সমস্যা সারা দেশের। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যা সিদ্ধান্ত আসবে আমরা তাই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। এককভাবে আমাদের কিছু করার নেই।