প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সোনাদিয়া দ্বীপ আজ বিপর্যস্ত। জলবায়ু পরিবর্তন, অবৈধ দখল ও ১৫ হাজার একর প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরির পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা রয়েছে।
সোনাদিয়া দ্বীপে প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের তৈরি নিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের নেতাদের দখলবাজি চলছে। আওয়ামী লীগ নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালে প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ শুরু করে, আর সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা দখল ধরে ঘের পরিচালনা করছে।
পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, প্যারাবন ধ্বংসের ফলে সোনাদিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে পড়ছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ইয়ুথ ফর ইকোলজি কনজারভেশন’-এর প্রধান এসএম রুবেল অভিযোগ করেছেন, ১৫ হাজার একরের বেশি প্যারাবন কেটে ঘের নির্মাণ হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। হাইকোর্টে রিট করার পরও ঘের নির্মাণের জন্য এক্সকেভেটর চালানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৫০টি চিংড়িঘের তৈরিতে কেওড়া ও কালো বাইন গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। দখলদারদের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা। পরিবেশ অধিদপ্তর মামলা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো দখলদারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন বনবিভাগের বিট অফিস পুনঃস্থাপনের কথা বলছে, তবে সেতু বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে অভিযান চালানো কঠিন হচ্ছে। পরিবেশ মন্ত্রণালয় দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। অভিযুক্ত নেতারা একে অপরের ওপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।