ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মাহমুদ সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভাষণের শুরুতে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সালামা দাউদ। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তৃতায় বিশ্বজনীন মানবাধিকার এবং শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং বিশেষভাবে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন এক সময়ে এখানে সমবেত হয়েছি যখন গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।’’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনিরা অবহেলিত জাতি নয়, প্রতিটি ফিলিস্তিনির জীবন মূল্যবান। আমাদের উচিত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে, তাদের পাশে দাঁড়ানো।’’ তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনের দাবি পুনরায় তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং আমরা ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব ও সহিংস দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।’’ পাশাপাশি, তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকেই ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করেন।

ড. ইউনূস আরো উল্লেখ করেন, ‘‘গাজা, পশ্চিম তীর ও লেবাননে চলমান গণহত্যা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।’’ তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি করেন, এই অপরাধের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার করা উচিত।

এ সময় ড. ইউনূস কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।

জনপ্রিয়

আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪

মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. মাহমুদ সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ভাষণের শুরুতে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. সালামা দাউদ। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তৃতায় বিশ্বজনীন মানবাধিকার এবং শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন এবং বিশেষভাবে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এমন এক সময়ে এখানে সমবেত হয়েছি যখন গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।’’

ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘‘ফিলিস্তিনিরা অবহেলিত জাতি নয়, প্রতিটি ফিলিস্তিনির জীবন মূল্যবান। আমাদের উচিত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে, তাদের পাশে দাঁড়ানো।’’ তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনের দাবি পুনরায় তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং আমরা ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্ব ও সহিংস দমনপীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।’’ পাশাপাশি, তিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকেই ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করেন।

ড. ইউনূস আরো উল্লেখ করেন, ‘‘গাজা, পশ্চিম তীর ও লেবাননে চলমান গণহত্যা স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।’’ তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি করেন, এই অপরাধের জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার করা উচিত।

এ সময় ড. ইউনূস কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ সম্মেলনে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরেন।