ঢাকা , শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি: জাতিসংঘে বাংলাদেশের আহ্বান সন্ধ্যার পর চলাফেরায় নিরাপদ বোধ করেন ৮৫ শতাংশ নাগরিক: বিবিএস জরিপ ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা: প্রেস উইং জনপ্রশাসন সংস্কারের ৮ প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা সমুদ্রসীমার পূর্ণাঙ্গ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গঠনে পেশাদারিত্বের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নিষেধাজ্ঞা শেষেও সাগরে হতাশা, বিপাকে উপকূলের জেলে পরিবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মৌলিক গবেষণায় ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেবে ইউজিসি ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নতুন আক্রান্ত ১৫১ জন, মৃত্যু শূন্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে: চন্দ্র শেখর রোহিঙ্গাদের দাবি: ‘আর শরণার্থী জীবন নয়, ফিরে যেতে চাই নিজ দেশে’

জনপ্রশাসন সংস্কারের ৮ প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে সোমবার (১৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে ৮টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।

 

শুক্রবার (২০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারের কাছে গৃহীত সংস্কার কমিশনের মোট ১২১টি প্রস্তাবের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সভায় এসব প্রস্তাবের মধ্যে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য ৮টি প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

১. মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট:

২০ জুলাইয়ের মধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট স্থাপনে সময়সীমা নির্ধারণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ নির্দেশনা দেবে এবং জেলা প্রশাসন বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

 

২. মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হালনাগাদ ও ডায়নামিক করা:

সব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ ও মতামত প্রদানের অপশন চালুর উদ্যোগ নিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

 

৩. স্কুল-কলেজে ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন:

নীতিমালা চূড়ান্ত করে এক মাসের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা।

 

৪. কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা:

এক সপ্তাহের মধ্যে এনজিওসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের নির্দেশ।

 

৫. সব সরকারি দফতরে গণশুনানি:

নিয়মিত বিরতিতে গণশুনানি আয়োজনে কৌশল নির্ধারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব।

 

৬. তথ্য অধিকার আইন ও সিক্রেট অ্যাক্ট সংশোধন:

দুই আইন পর্যালোচনায় সময়সীমা নির্ধারণ করে সংশোধনী প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত।

 

৭. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পুনর্গঠন:

‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান কমিশন’ হিসেবে রূপান্তরে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা।

 

৮. ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবা শক্তিশালীকরণ:

সব মন্ত্রণালয়ের সেবা নাগরিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা ও National Data Governance Interoperability System বাস্তবায়নের নির্দেশ।

 

সভায় জানানো হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্ব বাস্তবায়ন টিম গঠন করবে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকবে।

 

এছাড়া, গত কয়েক মাসে সরকারের ৫৪টি মন্ত্রণালয়ে মোট ১ হাজার ৬১টি সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

জনপ্রিয়

রোহিঙ্গা সংকট আঞ্চলিক নিরাপত্তার হুমকি: জাতিসংঘে বাংলাদেশের আহ্বান

জনপ্রশাসন সংস্কারের ৮ প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নে নির্দেশনা

প্রকাশিত: ১০ মিনিট আগে

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ লক্ষ্যে সোমবার (১৬ জুন) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে ৮টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।

 

শুক্রবার (২০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারের কাছে গৃহীত সংস্কার কমিশনের মোট ১২১টি প্রস্তাবের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সভায় এসব প্রস্তাবের মধ্যে সহজে বাস্তবায়নযোগ্য ৮টি প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

 

১. মহাসড়কের পেট্রোল পাম্পে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট:

২০ জুলাইয়ের মধ্যে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা টয়লেট স্থাপনে সময়সীমা নির্ধারণ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ নির্দেশনা দেবে এবং জেলা প্রশাসন বাস্তবায়ন তদারকি করবে।

 

২. মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হালনাগাদ ও ডায়নামিক করা:

সব মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে তথ্য হালনাগাদ ও মতামত প্রদানের অপশন চালুর উদ্যোগ নিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে।

 

৩. স্কুল-কলেজে ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠন:

নীতিমালা চূড়ান্ত করে এক মাসের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশনা।

 

৪. কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা:

এক সপ্তাহের মধ্যে এনজিওসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের নির্দেশ।

 

৫. সব সরকারি দফতরে গণশুনানি:

নিয়মিত বিরতিতে গণশুনানি আয়োজনে কৌশল নির্ধারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দায়িত্ব।

 

৬. তথ্য অধিকার আইন ও সিক্রেট অ্যাক্ট সংশোধন:

দুই আইন পর্যালোচনায় সময়সীমা নির্ধারণ করে সংশোধনী প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত।

 

৭. বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পুনর্গঠন:

‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান কমিশন’ হিসেবে রূপান্তরে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশনা।

 

৮. ডিজিটাল রূপান্তর ও ই-সেবা শক্তিশালীকরণ:

সব মন্ত্রণালয়ের সেবা নাগরিক প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা ও National Data Governance Interoperability System বাস্তবায়নের নির্দেশ।

 

সভায় জানানো হয়, প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্ব বাস্তবায়ন টিম গঠন করবে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক তদারকির দায়িত্বে থাকবে।

 

এছাড়া, গত কয়েক মাসে সরকারের ৫৪টি মন্ত্রণালয়ে মোট ১ হাজার ৬১টি সংস্কারমুখী পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।