ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
ডায়মন্ড হারবার থানার পাশে বাজেয়াপ্ত বারুদের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা ছয় অঞ্চলের নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি, দুপুর পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা বিয়ের প্রলোভনে চীনে পাচারচেষ্টার সময় তরুণী উদ্ধার, দুই চীনা নাগরিকসহ গ্রেফতার ৩ সারা দেশের ৬৮টি সরকারি কলেজের নাম পরিবর্তন, বাদ পড়ল শেখ হাসিনা ও পরিবারের নাম ট্রাম্প প্রশাসনের দায়িত্ব ছাড়লেন ইলন মাস্ক, শেষ হলো সরকারি কর্মচারী হিসেবে মেয়াদ লক্ষ্মীপুরে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ইউসুফ গ্রেফতার, রয়েছে ২০টি মামলা শাহবাগীদের বিচার দাবি হেফাজতের, জুলাইয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান সুস্পষ্ট লঘুচাপ ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার শঙ্কা, ছয় বিভাগে অতিভারি বর্ষণের পূর্বাভাস হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তা চায় সরকার কুকি-চিনের ইউনিফর্ম সন্দেহে চট্টগ্রামে গার্মেন্টস থেকে ফের ১৫ হাজার পোশাক জব্দ

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম মুক্ত

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলাটি, কারণ এটি হচ্ছে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউয়ের শুনানির পর ফের আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আজহারুল ইসলাম কারাগারেই রয়েছেন। প্রায় ১৩ বছরের বন্দিজীবন শেষে এবার মুক্তির পথ খুললো তার জন্য।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তিনি।

রায়ের পর আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই রায় ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আইনি কাঠামো এবং রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।

জনপ্রিয়

ডায়মন্ড হারবার থানার পাশে বাজেয়াপ্ত বারুদের ভয়াবহ বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম মুক্ত

প্রকাশিত: ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (২১ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও, ২০২০ সালের ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তিনি রিভিউ আবেদন করেন।

বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এই মামলাটি, কারণ এটি হচ্ছে প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, যেখানে রিভিউয়ের শুনানির পর ফের আপিল শুনানির সুযোগ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ আদালতের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় নজির সৃষ্টি করেছে।

২০১২ সালের ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আজহারুল ইসলাম কারাগারেই রয়েছেন। প্রায় ১৩ বছরের বন্দিজীবন শেষে এবার মুক্তির পথ খুললো তার জন্য।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রংপুর অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের রায়ে সেই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সব অভিযোগ থেকে খালাস পেলেন তিনি।

রায়ের পর আইনজীবী এবং বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই রায় ভবিষ্যতে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর আইনি কাঠামো এবং রিভিউ পদ্ধতি নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে।