পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের খুজদার এলাকায় একটি স্কুলবাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। রোববার (২৬ মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই কিশোরী শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা সূত্র, জানিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।
গত ২১ মে (বুধবার) ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হামলায় মূলত স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, এই হামলার পেছনে রয়েছে ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামের ভারত-সমর্থিত একটি প্রক্সি জঙ্গি গোষ্ঠী।
নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন শিমা ইব্রাহিম ও মুসলকান নামের দুই কিশোরী, যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। হামলায় নিহতদের মধ্যে সাতজনই মেয়ে শিক্ষার্থী এবং একজন ছেলে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, এই হামলায় অন্তত ৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪ জন স্কুলশিক্ষার্থী। এ ছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৩ জন, যাদের মধ্যে ৩৯ জনই শিশু।
নিরাপত্তা পরিষদ তাদের বিবৃতিতে নিহতদের পরিবার, পাকিস্তান সরকার এবং জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে।
পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, এই হামলা ছিল একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, যার পেছনে ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় গড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন। তাদের লক্ষ্য ছিল সমাজে ভীতি সৃষ্টি ও শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দেওয়া।
এই ঘটনায় পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির সরকার ইতোমধ্যে হামলার পূর্ণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এবং জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।