ঢাকা , বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৯ বছর পর কুয়েতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পাকিস্তানিদের জন্য উন্মুক্ত হলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার

১৯ বছর পর আবারও পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান শুরু করেছে কুয়েত। মঙ্গলবার (২৭ মে) এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কুয়েত সরকার দীর্ঘদিনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পাকিস্তানিদের জন্য কর্মসংস্থান, পারিবারিক, সফর, পর্যটন ও বাণিজ্যিক ভিসা চালু করেছে।

২০০৬ সাল থেকে কার্যকর থাকা এই নিষেধাজ্ঞা ২০১১ সালে আরও জোরালো হয়, যখন কুয়েত নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে পাকিস্তানসহ কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে কুয়েতগামী হাজারো পাকিস্তানির জন্য চাকরি, ব্যবসা এবং পর্যটনের নতুন দরজা খুলে গেছে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ১,২০০ নার্স নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কুয়েত, যাদের প্রথম দল শিগগিরই দেশটির উদ্দেশে রওনা দেবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কুয়েত সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও পর্যটনের বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে।” তিনি জানান, এখন থেকে আবেদনকারীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, কুয়েতের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

উল্লেখ্য, কুয়েত-পাকিস্তান সরকারের নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কাটিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউরোপিয়ান কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে শেনজেন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ১৪.৮ শতাংশ। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা আবেদনকারীদের উচ্চ প্রত্যাখ্যান হারযুক্ত দেশগুলোতে আবেদন না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

জনপ্রিয়

১৯ বছর পর কুয়েতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পাকিস্তানিদের জন্য উন্মুক্ত হলো নতুন সম্ভাবনার দ্বার

প্রকাশিত: ১৫ ঘন্টা আগে

১৯ বছর পর আবারও পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান শুরু করেছে কুয়েত। মঙ্গলবার (২৭ মে) এআরওয়াই নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কুয়েত সরকার দীর্ঘদিনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে পাকিস্তানিদের জন্য কর্মসংস্থান, পারিবারিক, সফর, পর্যটন ও বাণিজ্যিক ভিসা চালু করেছে।

২০০৬ সাল থেকে কার্যকর থাকা এই নিষেধাজ্ঞা ২০১১ সালে আরও জোরালো হয়, যখন কুয়েত নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে পাকিস্তানসহ কিছু দেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেয়।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে কুয়েতগামী হাজারো পাকিস্তানির জন্য চাকরি, ব্যবসা এবং পর্যটনের নতুন দরজা খুলে গেছে। বিশেষ করে, স্বাস্থ্যখাতে প্রায় ১,২০০ নার্স নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কুয়েত, যাদের প্রথম দল শিগগিরই দেশটির উদ্দেশে রওনা দেবে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কুয়েত সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে কর্মসংস্থান, বাণিজ্য ও পর্যটনের বিপুল সুযোগ সৃষ্টি হবে।” তিনি জানান, এখন থেকে আবেদনকারীরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহজেই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, কুয়েতের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে সহায়ক হবে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

উল্লেখ্য, কুয়েত-পাকিস্তান সরকারের নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উদ্বেগ কাটিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউরোপিয়ান কমিশনের সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৪ সালে শেনজেন ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার ছিল ১৪.৮ শতাংশ। এ ধরনের তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা আবেদনকারীদের উচ্চ প্রত্যাখ্যান হারযুক্ত দেশগুলোতে আবেদন না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।