ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নুরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

নুরের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (২৪ মে) সংগঠনের সভাপতি গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২২ মে এক গণজমায়েতে নুরুল হক নুর বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুলিশ আমাদের গায়ে হাত দিলে ওই হাত আর আস্ত রাখবো না। পরিষ্কার কথা, ওই যাত্রাবাড়ীতে যেমন জনতা পুলিশকে মেরে ব্রিজে ঝুলিয়ে রেখেছিল, এই গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলা হলে সেভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এই বাহিনী সর্বদা পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভিপি নুরের বক্তব্যকে তারা সরাসরি পুলিশের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে, যা এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ বলে মনে করছে অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য নয়, বরং গঠনমূলক সমালোচনাই কাম্য। সংগঠনটি মনে করে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাহিনীর মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, যা একটি মহলের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের নিরলস ভূমিকা তুলে ধরে অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের ‘অপরাধমূলক ও জনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এমন বক্তব্য সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

জনপ্রিয়

নুরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

প্রকাশিত: ৭ ঘন্টা আগে

নুরের ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

শনিবার (২৪ মে) সংগঠনের সভাপতি গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২২ মে এক গণজমায়েতে নুরুল হক নুর বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুলিশ আমাদের গায়ে হাত দিলে ওই হাত আর আস্ত রাখবো না। পরিষ্কার কথা, ওই যাত্রাবাড়ীতে যেমন জনতা পুলিশকে মেরে ব্রিজে ঝুলিয়ে রেখেছিল, এই গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলা হলে সেভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। এই বাহিনী সর্বদা পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। ভিপি নুরের বক্তব্যকে তারা সরাসরি পুলিশের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখছে, যা এক ধরনের ফৌজদারি অপরাধ বলে মনে করছে অ্যাসোসিয়েশন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এ ধরনের শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য নয়, বরং গঠনমূলক সমালোচনাই কাম্য। সংগঠনটি মনে করে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে বাহিনীর মনোবল ভাঙার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে, যা একটি মহলের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।

রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের নিরলস ভূমিকা তুলে ধরে অ্যাসোসিয়েশন জানায়, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময় থেকে বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের ‘অপরাধমূলক ও জনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী’ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এমন বক্তব্য সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।