ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সীমান্ত উত্তেজনার সময়, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের পশ্চিম সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে কূটনৈতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আফগান তালেবান সরকারের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ সীমান্তের প্রতিশ্রুতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন পাকিস্তানের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক খান।
সোমবার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, এই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে কাবুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রথম পর্ব। বৈঠকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এ আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তি এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সম্প্রসারণ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
কাবুলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অংশ নেন আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খলিফা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি, চীনের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত ইউ শিয়াওয়েইং এবং পাকিস্তানের বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক।
আলোচনায় আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতি আনতে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও গঠনমূলক সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।” অপরদিকে, চীন ও পাকিস্তান আফগানিস্তানের সঙ্গে শুভ প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জানান, ত্রিপাক্ষিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ষষ্ঠ বৈঠক কাবুলেই অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বস্ত সূত্র মতে, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার পটভূমিতে আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাক্কানি পশ্চিম সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আশ্বাস দেন।
এছাড়াও, চীন ও পাকিস্তানের বিশেষ দূতরা আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে অংশ নেন, যেখানে নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানকে অটুট সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেন।
পরবর্তীতে, আফগান বাণিজ্যমন্ত্রী নুরউদ্দিন আজিজির সঙ্গে বৈঠকে সিপিইসি সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের বিশেষ দূতরা।
বৈঠক শেষে পাকিস্তানের বিশেষ দূত মোহাম্মদ সাদিক বলেন, “আমরা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে গঠনমূলক আলোচনা করেছি। বিশেষভাবে ২০২৩ সালের মে মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিপিইসি-কে আফগানিস্তানে সম্প্রসারণে আমরা একমত হয়েছি।”