চলতি লবণ মৌসুম শেষ হতে চার দিন বাকি থাকতেই দেশে রেকর্ড ২১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছে, যা ৬২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তবে মৌসুমজুড়ে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় হতাশ লবণচাষিরা। এই প্রেক্ষাপটে সরকার মাঠপর্যায়ের চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি লবণ কেনার উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে লবণ সংরক্ষণের জন্য গোডাউন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে চাষিরা ন্যায্য মূল্যে লবণ বিক্রির সুযোগ পান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান রোববার (১১ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক স্টেকহোল্ডার সভায় জানান, সরকার সরাসরি লবণ কিনবে এবং এর জন্য জমি খোঁজা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, কোরবানির মৌসুমের চাহিদা অনুযায়ী দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে এবং ৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে লবণ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি জানান, লবণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে, যাতে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি না হয় এবং প্রকৃত চাষিরাই জমি বরাদ্দ পান।
বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, এ মৌসুমে ৬৯ হাজার ১৯৮ একর জমিতে ৪১ হাজার ৩৫৫ জন চাষি ২১ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করেছেন, যেখানে দেশের বার্ষিক চাহিদা ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজিব সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম নুরুল বশর চৌধুরীসহ চাষি ও মিল মালিকরা।