ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে গাইবান্ধার সাহাবুল ইসলাম বহিষ্কার আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতির আদেশ চেম্বার আদালতেও স্থগিত ডিএনসিসিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি: অযথা হর্ন বাজানো গাড়ির চালক শনাক্তে উদ্যোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ‘ভালো মশা’: বাংলাদেশে উলবাকিয়া প্রযুক্তির সফল অগ্রগতি পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে প্রশ্ন ফাঁস, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ তদন্তের মুখে বাংলাদেশ পুলিশের ৯ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৫ কর্মকর্তার বদলি সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক মানুষ প্রবেশ করানো গ্রহণযোগ্য নয়: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আকু পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ২৫.৬৭ বিলিয়ন ডলারে ১০ মে থেকে শুরু ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৫’

রাজশাহীতে পদ্মার পানি শোধন করে ঘরে ঘরে সরবরাহের উদ্যোগ

রাজশাহীর মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে পদ্মা নদীর পানি শোধন করে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী ওয়াসা। চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের সহায়তায় প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে দৈনিক ২০ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পানি শোধনাগার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রকল্পটি স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার আগামী ৫০-১০০ বছরের জন্য পানি সংকট সমাধানে কাজ করছে।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল আলম সরকার জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে, যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সারফেস ওয়াটার প্রকল্প পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প পরিচালক ও রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. পারভেজ মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে কাটাখালি, নওহাটা ও গোদাগাড়ির ৩০টি ওয়ার্ডের মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পাবেন। এতে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শুরু হয়। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার বেশি, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৭৪৮ কোটি এবং বাকি অর্থায়ন করছে হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।

২০৩৫ সালের চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক ২০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন, পানি ব্যবহারে জন প্রতি ৬৫ লিটার থেকে ১৪০ লিটার উন্নয়ন এবং শতভাগ পানি সরবরাহ কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের উপসচিব আব্দুল কাদের, প্রকল্পের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মি. যো হুয়াইয়েন এবং চিফ প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার মি. শু জো প্রমুখ।

জনপ্রিয়

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী গ্রেফতার

রাজশাহীতে পদ্মার পানি শোধন করে ঘরে ঘরে সরবরাহের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহীর মানুষের সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে পদ্মা নদীর পানি শোধন করে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী ওয়াসা। চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের সহায়তায় প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে। কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৭ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে দৈনিক ২০ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যাবে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) পানি শোধনাগার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, প্রকল্পটি স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। তিনি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে দেশের অনেক এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার আগামী ৫০-১০০ বছরের জন্য পানি সংকট সমাধানে কাজ করছে।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল আলম সরকার জানান, বরেন্দ্র অঞ্চলের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে, যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। সারফেস ওয়াটার প্রকল্প পরিবেশ সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্প পরিচালক ও রাজশাহী ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. পারভেজ মাহমুদ বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে কাটাখালি, নওহাটা ও গোদাগাড়ির ৩০টি ওয়ার্ডের মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পাবেন। এতে ভূগর্ভস্থ পানির উপর চাপ কমবে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৫ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ২০২৩ সালের জুনে কাজ শুরু হয়। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার বেশি, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ১ হাজার ৭৪৮ কোটি এবং বাকি অর্থায়ন করছে হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ।

২০৩৫ সালের চাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের মাধ্যমে দৈনিক ২০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন, পানি ব্যবহারে জন প্রতি ৬৫ লিটার থেকে ১৪০ লিটার উন্নয়ন এবং শতভাগ পানি সরবরাহ কভারেজ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিলেশন ডিপার্টমেন্টের উপসচিব আব্দুল কাদের, প্রকল্পের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মি. যো হুয়াইয়েন এবং চিফ প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার মি. শু জো প্রমুখ।