বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় শিপলু হাসান মিনাজুল নামে এক ব্যক্তি ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মিনাজুল সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের নওদাবগাঁ গ্রামের জাহাঙ্গীর প্রামাণিকের ছেলে। পেশায় তিনি একজন ঘটক ও মুদি দোকানি। তবে তিনি বিয়ে করার সময় একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও নওদাবগাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী সাজু মিয়ার নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বগুড়া সদরের এক ব্যক্তির কলেজপড়ুয়া মেয়েকে তিন লাখ পঁচাশি হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন মিনাজুল। বিয়ের পর থেকে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেয়েটির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।
কয়েকদিন আগে এক ভিক্ষুক কলেজছাত্রীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানান, প্রকৃত সাজু মিয়া একজন স্কুলের নৈশপ্রহরী। তখনই কনের পরিবার বুঝতে পারে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মিনাজুল আত্মগোপনে চলে যান।
কলেজছাত্রী জানান, বিয়ের পর থেকেই মিনাজুল তার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে সংসার করছিলেন। তবে পরিচয় ফাঁস হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।
কনের বাবা বলেন, “আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রতারিত হয়েছি। আমি প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং খুব শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
প্রকৃত সাজু মিয়া বলেন, “আমার নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে মিনাজুল যে প্রতারণা করেছে, তাতে আমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমি তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সোনাতলা থানার ওসি মিলাদুন্নবী বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবার আমাদের কাছে এসেছিল। যেহেতু বিয়ের ঘটনাস্থল বগুড়া সদরে, তাই তাদের সেখানেই মামলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”