ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে। প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের সংখ্যা ছিল সীমিত, কারণ নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো ছেড়ে যাওয়ায় বিলম্বজনিত কারণে অতিরিক্ত যাত্রীসমাগম হয়নি। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকালে স্টেশনের পার্কিং এলাকায় সড়কপথে আগত যাত্রীরা হেঁটে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন। প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের আগে যাত্রীদের তিন স্তরের চেকিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, যেখানে ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) পাশাপাশি স্কাউট সদস্যরাও সহায়তা করছেন।
জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯) সকাল ১০টায় এবং পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস (৭০৫) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে নির্ধারিত সময়ে ঢাকা স্টেশন ত্যাগ করে। জামালপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এই যাত্রায় কোনো ট্রেন বিলম্ব হয়নি, যা সত্যিই আশ্চর্যজনক। পূর্বে ট্রেনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এবার স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়ও কম, ট্রেনগুলো সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে।” একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী আনিকা মাহজাবিন উল্লেখ করেন, “ট্রেন ও স্টেশনে তেমন ভিড় নেই। অনেকের হয়তো এখনো ছুটি হয়নি, তাই আমরা যারা সুযোগ পেয়েছি, ভিড় এড়াতে ঈদের পাঁচ দিন আগে বাড়ি যাচ্ছি।”
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত ১৩টি আন্তঃনগর ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে, এবং এখন পর্যন্ত কোনো বিলম্ব হয়নি।
এছাড়াও, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্টেশনে তিন স্তরের চেকিং ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, যেখানে টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই চেকিং প্রক্রিয়ায় ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনারদের (টিটিই) পাশাপাশি স্কাউট সদস্যরাও সহায়তা করছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঈদযাত্রায় ট্রেনের সময়সূচি ও যাত্রী সেবায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রেল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা যাত্রীদের জন্য স্বস্তিদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।