ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি মালয়েশিয়ায় ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ জন অভিবাসী আটক ইভ্যালির অর্থ আত্মসাৎ: গ্রাহকদের মানববন্ধন ও রাসেলের গ্রেফতারের দাবি কক্সবাজার-মহেশখালী রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলো সি-ট্রাক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় শাহে আলম মুরাদ ও আনিসুর রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে বিচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির চট্টগ্রামের চকবাজারে নালায় পড়ে ৬ মাসের শিশু নিখোঁজ ১৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা: সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস কুয়াকাটায় শুরু হয়েছে রাখাইনদের প্রাচীন ‘জলকেলি’ উৎসব: মিলন, আত্মশুদ্ধি আর মানবিকতার বার্তা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইমনের মরদেহ উত্তোলন: আদালতের নির্দেশে নতুন তদন্তের সূচনা
ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ সময়,

লাইলাতুল কদরের ইবাদাত ও ফজিলত: মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়

  • রেজোয়ানা আরেফীন
  • প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • ১৯৯৬৮ বার পড়া হয়েছে

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। এই রাতটি মুসলমানদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী হিসেবে

 

পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমাদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতসমূহের মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত।

 

মূলত, রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাযিলের রাত। এই রাতেই হেরা পর্বতের গুহায়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ হতে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে হজরত মুহাম্মাদ (সা:)-এর উপর পবিত্র আল কুরআন অবতীর্ণ হয়।

 

এই উদ্দেশ্যেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মহানবী (সা:) এর উম্মতগণকে হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের সমান সাওয়াব দান করেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেন:

 

 

“হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে (কুরআন) এক বরকতময় রাতে নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ” (সুরা দুখান : ১-৬)

 

 

কুরআন নাযিলের কারণে এই বিশেষ রাতের কথা উল্লেখ করার পর, যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে; সে মাসের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআ’লা বলেন:

 

“রমজান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে, কোরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে।” (সুরা আল বাকারা: ১৮৫)।

 

লাইলাতুল কদর শনাক্তকরণঃ

কদরের রাতে সম্পূর্ণ ত্রিশ পারা কোরআন একত্রে লাওহে মাহফুজ থেকে অবতীর্ণ হয়। পরবর্তীতে, পর্যায়ক্রমে তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ণ হতে থাকে। কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ, এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

 

রমজানের শেষ দশকে কদরের রাত খোঁজা মোস্তাহাব; অর্থাৎ, রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাত।নবী  (সা:) বলেন:

 

 

‘তোমরা রোজার শেষ দশকের বিজোড় রাতে শবে কদরের সন্ধান করো।’ (বুখারী: ২০২০; মুসলিম: ১১৬৯)

 

 

লাইলাতুল কদরের ফজিলতঃ

আল্লাহ যে রাতে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন, সে রাতকে বরকতময় করেছেন। এ রাতের ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই রাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেন, যার নাম সূরা কদর।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:

 

 

লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম:

 

“হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- 

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ’ফওয়া; ফা’ফু আ’ন্নী।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন” (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

 

 

এই বিশেষ রাতে নফল সালাত আদায় করলে মুমিনদের অতীতের সগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

 

 

“যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে নফল সালাত আদায় ও রাত জেগে ইবাদত করবে আল্লাহ তার ইতঃপূর্বের সকল সগীরা (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেন” (বুখারী: ১৯০১; মুসলিম: ৭৬০)

 

 

লাইলাতুল কদরের মর্যাদা এত বেশি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

 “আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাযিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তাঁর সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়” (মুসলিম শরীফ)

সুরা কদরের আয়াতের ব্যাখায় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।

তাবেঈ মুজাহিদ (র:) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তিলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ’ 

মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।

 

আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশক আমরা লাইলাতুল কদরের তালাশ করে ইবাদাত বন্দেগিতে কাটাই।

জনপ্রিয়

বিডিআর হত্যাকাণ্ড: সহায়ক তথ্য আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি

ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ সময়,

লাইলাতুল কদরের ইবাদাত ও ফজিলত: মুসলিম জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণাগুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। এই রাতটি মুসলমানদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্য রজনী হিসেবে

 

পবিত্র কুরআনুল কারিম নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই রাতকে হাজারের মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ উত্তম ও মহা সম্মানিত রাত হিসেবে আমাদের জন্য দান করেছেন। প্রতিবছর রমজান মাসের শেষ দশকের রাতসমূহের মধ্যে কোনো এক বিজোড় রাত হলো ভাগ্য নির্ধারণ বা লাইলাতুল কদরের রাত।

 

মূলত, রমজান মাস পবিত্র কুরআন নাযিলের মাস। শবে কদর কুরআন নাযিলের রাত। এই রাতেই হেরা পর্বতের গুহায়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ হতে হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে হজরত মুহাম্মাদ (সা:)-এর উপর পবিত্র আল কুরআন অবতীর্ণ হয়।

 

এই উদ্দেশ্যেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এ রাতের মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ রাতে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা মহানবী (সা:) এর উম্মতগণকে হাজার মাসের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের সমান সাওয়াব দান করেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআনে বলেন:

 

 

“হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে (কুরআন) এক বরকতময় রাতে নাযিল করেছি। নিশ্চয়ই আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ” (সুরা দুখান : ১-৬)

 

 

কুরআন নাযিলের কারণে এই বিশেষ রাতের কথা উল্লেখ করার পর, যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে; সে মাসের প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআ’লা বলেন:

 

“রমজান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে, কোরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে।” (সুরা আল বাকারা: ১৮৫)।

 

লাইলাতুল কদর শনাক্তকরণঃ

কদরের রাতে সম্পূর্ণ ত্রিশ পারা কোরআন একত্রে লাওহে মাহফুজ থেকে অবতীর্ণ হয়। পরবর্তীতে, পর্যায়ক্রমে তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে অবতীর্ণ হতে থাকে। কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। অর্থাৎ, এ রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

 

রমজানের শেষ দশকে কদরের রাত খোঁজা মোস্তাহাব; অর্থাৎ, রমজানের ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাত।নবী  (সা:) বলেন:

 

 

‘তোমরা রোজার শেষ দশকের বিজোড় রাতে শবে কদরের সন্ধান করো।’ (বুখারী: ২০২০; মুসলিম: ১১৬৯)

 

 

লাইলাতুল কদরের ফজিলতঃ

আল্লাহ যে রাতে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন, সে রাতকে বরকতময় করেছেন। এ রাতের ফজিলত বর্ণনা করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এই রাতেই একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল করেন, যার নাম সূরা কদর।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:

 

 

লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একবার আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম:

 

“হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি বলে দিন, আমি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি, তাতে আমি কী (দোয়া) পড়বো?

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বলবে- 

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আ’ফুয়্যুন; তুহিব্বুল আ’ফওয়া; ফা’ফু আ’ন্নী।’

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন” (মুসনাদে আহমাদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)

 

 

এই বিশেষ রাতে নফল সালাত আদায় করলে মুমিনদের অতীতের সগীরা গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :

 

 

“যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াব লাভের আশায় কদরের রাতে নফল সালাত আদায় ও রাত জেগে ইবাদত করবে আল্লাহ তার ইতঃপূর্বের সকল সগীরা (ছোট) গুনাহ ক্ষমা করে দেন” (বুখারী: ১৯০১; মুসলিম: ৭৬০)

 

 

লাইলাতুল কদরের মর্যাদা এত বেশি যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ রাতটি পাওয়ার জন্য শেষ দশকে আজীবন ইতেকাফ করেছেন। এরই প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

 “আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাযিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তাঁর সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়” (মুসলিম শরীফ)

সুরা কদরের আয়াতের ব্যাখায় হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম’। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।

তাবেঈ মুজাহিদ (র:) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তিলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ’ 

মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।

 

আসুন, পবিত্র মাহে রমজানের শেষ দশক আমরা লাইলাতুল কদরের তালাশ করে ইবাদাত বন্দেগিতে কাটাই।