ঈমানের পথে চলতে গেলে অসৎ সঙ্গ এক বড় বাধা হতে পারে। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে আল্লাহর উপর নির্ভরশীল থাকতে এবং ধৈর্য ধারণ করতে পরামর্শ দিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদরা। তারা বলেছেন, অসৎ মানুষরা নিজেদের সঙ্গীদের সৎ হওয়ার সুযোগ দিতে চায় না এবং নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, যেমন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অতীত পাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া, বা আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিষয়ে হতাশ করা।
তারা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে অচিরেই আল্লাহ আপনাকে সুপথে পরিচালিত করবেন। আল্লাহ বলেন, “তুমি যদি সংকল্প করো, তাহলে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। যারা আল্লাহর ওপর ভরসা রাখে, আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন।” (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত: ১৫৯)
এছাড়া, যারা আপনাকে অসৎ পথে থাকতে চাপ দেয়, তাদের থেকে দূরে থাকার উপদেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহর বাণী অনুযায়ী, “বলুন, আমি মানুষের প্রভুর কাছে আশ্রয় চাই, শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে।” (সুরা: নাস, আয়াত: ১-৬)
এটি এমন একটি পথ যা প্রথমদিকে কঠিন মনে হতে পারে, তবে ঈমানের আলোয় উদ্ভাসিত হওয়ার পর তা আপনাকে সত্যিকার শান্তি দেবে। ইসলামিক চিন্তাবিদরা বলেন, আসল শত্রু হচ্ছে অসৎ বন্ধু এবং শয়তান। তাদের প্ররোচনায় পড়ে, একসময় পরকালে আপনি আক্ষেপ করতে পারেন, যেভাবে কুরআনে উল্লেখ আছে, “যারা আমার উদ্দেশে সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করব।” (সুরা: আনকাবুত, আয়াত: ৬৯)
একইভাবে, সাহাবি কাআব বিন মালিক (রা.)-এর ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেখানে তিনি রাসুল (সা.)-এর নির্দেশে একদম একা হয়ে গেলেও ইসলামের পথে অটল থেকেছেন। এটি তার দৃঢ়তা ও ঈমানের প্রতি অবিচল থাকার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
অবশেষে, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে, যাতে ঈমানের পথে অবিচল থাকা সম্ভব হয় এবং শয়তান ও তার সহযোগীরা হতাশ হয়ে ফিরে যায়। আল্লাহর অঙ্গীকার যে সত্য, তার ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী চিন্তাবিদরা সকলকে ধৈর্য ধরার এবং আল্লাহর উপর নির্ভরশীল থাকার জন্য উৎসাহিত করেছেন।
আল্লাহ সবাইকে দ্বিনের ওপর অটল থাকার তাওফিক দিন। আমিন।