ইউক্রেন যুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে দখলকৃত জাপোরিজঝিয়া অঞ্চলের একটি তেলের ডিপো ও একটি রুশ তেল টার্মিনালে সফল আক্রমণের দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যুদ্ধের সামরিক উত্তেজনা বাড়ার পাশাপাশি দুপক্ষই কৌশলগত অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দক্ষিণাঞ্চলীয় জাপোরিজঝিয়ার ফ্রন্টলাইনে সৈন্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে তাকে সামরিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত দেখা যায়। তার সফরের মধ্যেই ইউক্রেনীয় বাহিনী দখলকৃত অঞ্চলে জ্বালানি স্থাপনায় হামলার দাবি জানায়।
অন্যদিকে, খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার ড্রোন হামলা নতুন করে হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের একটি গ্রাম এবং খারকিভের সিনেলনিকোভে এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। ইউক্রেন এ দখলদারিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করলেও সীমান্তবর্তী এলাকায় রুশ অগ্রযাত্রা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
এ অবস্থায় রাশিয়া সতর্কবার্তা দিয়েছে, আগে বা পরে কিয়েভকে মস্কোর সঙ্গে সমঝোতায় আসতেই হবে। তাদের মতে, আলোচনায় দেরি যত বাড়বে, ইউক্রেনের পরিস্থিতিও তত কঠিন হবে। তবে কিয়েভের পাল্টা দাবি, রাশিয়ার প্রস্তাবিত শর্তগুলো কার্যত আত্মসমর্পণের সমান, যা গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, রাশিয়া এখনো শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
ভূরাজনৈতিক এই উত্তেজনার মাঝেও ইউক্রেন পুনর্গঠনে সহায়তার পথ খুঁজছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউরোপে জব্দ হওয়া রুশ সম্পদকে জামানত হিসেবে ব্যবহার করে ইউক্রেনকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব উঠে এসেছে। ডেনমার্কের অর্থমন্ত্রী এই পরিকল্পনাকে সবচেয়ে বাস্তবসম্মত সমাধান হিসেবে বর্ণনা করলেও, ইউরোপীয় কমিশন এসব সম্পদ ব্যবহারের ঝুঁকি মোকাবিলায় যৌথ অবস্থানের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট