রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে উদ্ধার হওয়া এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছে সিআইডি। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আশরাফুল হক (৪৩), যিনি রংপুরের বদরগঞ্জের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করার পর নিশ্চিত হয় যে মরদেহটি আশরাফুলের। তবে কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে তাকে হত্যা করে মরদেহ ড্রামে ভরে ঈদগাহের সামনে ফেলে যাওয়া হয়েছে—তা এখনো স্পষ্ট হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি ভ্যানে করে দুজন ব্যক্তি এসে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যায়। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ধ্যার দিকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে ড্রাম খুলে চালের ভেতর কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে।
তিনি আরও জানান, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ড্রাম ফেলে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
ঘটনার সময় উপস্থিত স্থানীয় শাহাদাত হোসেন বলেন, পুলিশের অনুরোধে তিনিই ড্রাম খুলে দেন এবং ভেতর থেকে মানুষের একাধিক খণ্ডিত দেহাংশ দেখতে পান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দু-একদিন আগে আশরাফুলকে হত্যা করা হতে পারে। পরে মরদেহ খণ্ডিত করে চালভর্তি ড্রামে ভরে ঘটনাস্থলের নিকটে ফেলে রাখা হয়। মরদেহ পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পুরো এলাকা ঘিরে তদন্ত চলছে।
স্টাফ রিপোর্টার