মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ায় ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংস্থাটির সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন অনুপ্রবেশকারীদের অধিকাংশই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এর ফলে ২০১৭ সালের সেনা অভিযানের পর থেকে বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে নতুন শরণার্থীদের সংখ্যা যোগ হয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ের রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দেওয়াই এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য।
ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে হলে তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের পথ তৈরি করতে হবে। সংস্থাটি আশা করছে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ তৈরিতে সদস্য রাষ্ট্র, আন্তঃসরকারি সংস্থা ও দাতারা অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে পারবে।
এছাড়া জাতিসংঘের ৫৯তম মানবাধিকার কাউন্সিলে হাইকমিশনারের উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্তিমূলক, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি আরও জোরদার করার কথাও এতে বলা হয়েছে।