চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন শুল্ক কার্যকর করার সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর অডিটোরিয়ামে ‘কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: প্রবলেমস, প্রসপেক্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বন্দরের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে নিতে হলে বিদেশি অপারেটর নিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৩টি খাতে নতুন ট্যারিফ চালু করেছিল। এতে সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত খরচ বেড়ে যায়। প্রায় ৪০ বছর পর মাশুল বাড়ানো হলেও ব্যবসায়ীরা এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, রফতানিমুখী শিল্প ও ভোক্তা পর্যায়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা কর্মশালায় অন্তত ছয় মাসের জন্য শুল্ক আদায় স্থগিত রাখার দাবি জানান।
উপদেষ্টা জানান, বন্দরের ট্যারিফ থেকে আরও এক মাসের জন্য ‘রিলিফ’ দেয়া হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বড় অপারেটররা শতাধিক বন্দর পরিচালনা করছে; বিদেশি বিনিয়োগ মানে বন্দর বিক্রি নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানে পরিচালনা করা। এতে বন্দরের আধুনিকায়ন হবে এবং কর্মসংস্থানের কোনো ক্ষতি হবে না।
বে-টার্মিনাল প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি জানান, ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যেই অর্থায়ন দিয়েছে। এই সরকারের মেয়াদে কাগজপত্রের কাজ শেষ হবে এবং পরবর্তী সরকার প্রকল্পের কাজ শুরু করবে।
কর্মশালায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানান, এমপি কোটায় আনা ৩০টি গাড়ি সরকারকে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নিলামে কম দাম ওঠার কারণে এসব গাড়ি সরকারি পরিবহন পুলে দেয়া হবে। কর্মশালাটি আয়োজন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ; এতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।