ব্যাংক এশিয়ার প্রায় ৩৮৯ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অস্থায়ী ভাবে ১৫ দিনের জন্যক্রোকের (জব্দ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার ৫ নাম্বার অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদীপক্ষ আদালতকে জানান যে নালিশি ঋণের বিপরীতে এক্সিম ব্যাংকের কোনো সম্পত্তি দায়বদ্ধ নেই। তবে ওই সম্পত্তিতে এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এক্সিম ব্যাংকের অর্থনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত ভঙ্গুর হওয়ার কারণে সম্প্রতি অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এজন্য এক্সিম ব্যাংকের অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ায় প্রধান কার্যালয়ের সম্পত্তি ক্রোক না করলে বাদী ব্যাংক এশিয়ার বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
শুনানি শেষে ও নথি পর্যালোচনা করে বিচারক এক্সিম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় কেন ক্রোক করা হবে না মর্মে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে কারণ না দর্শানো বা আপত্তি দাখিল না করা পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় অস্থায়ীভাবে ক্রোক করার আদেশ দেন আদালত। আগামী ২১ আগস্ট বিবাদীপক্ষ অর্থাৎ এক্সিম ব্যাংকের জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক এশিয়ার কাছ থেকে ৩৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২৬ হাজার ৯৪৪ টাকার ঋণ গ্রহণ করে এক্সিম ব্যাংক। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও এক্সিম ব্যাংক ওই টাকা পরিশোধ করতে পারেনি।
ওই খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য ঢাকার ৫ নাম্বার অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করে ব্যাংক এশিয়া।