ঢাকা , রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
তীব্র তাপপ্রবাহের পর তেঁতুলিয়ায় স্বস্তির বৃষ্টি মহেশপুর সীমান্তে ভারতে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ১৭ জন আটক জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ২৩০ জনকে অনুদানের চেক বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের দুটি বাঙ্কার নির্মাণ, পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ সার্চ কমিটির মেয়াদ বাড়ছে না, ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত রাখার প্রত্যয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪৬টি অডিট রিপোর্ট হস্তান্তর বুদ্ধ পূর্ণিমায় শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঈদ ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা বন্ধ, খোলা থাকবে দুটি শনিবার ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪৭ জন, মৃত্যুহীন দিন দখল-দূষণে বিলীন বান্দরবানের ম্যাক্সি খাল, প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের আশ্বাস

দেশে নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ থাকবে ট্রাম্পের: ইমতিয়াজ মাহমুদ

দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ফেরার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তাগিদ থাকবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এই ব্যাপারে তাগাদাও দিতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ।

 

এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, গত ২ সপ্তাহে আমরা দেখেছি যে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা চাচ্ছিল। সেই কারণে আমার মনে হয় রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পার্টির একটা তাগিদ থাকবে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে।

 

ইমতিয়াজ আরও বলেন, “ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চেষ্টা করবে। এই কারণে হয়তো আমরা যে উৎসাহটা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের ব্যাপারে সেটা হয়তো ভাটা পড়বে বা অতটা উৎসাহ থাকবে না। তার (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দিক থেকে চায়না, ভারত ও রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলোর বিষয়ে ব্যস্ত থাকবে।

 

সেই জায়গায় হয়তো বাংলাদেশ যে অ্যাটেনশনটা চেয়েছিল সেটা নাও পেতে পারে। তাই আমাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি মনে করি যে তারা হয়তো তাড়াতাড়ি রোডম্যাপ দেখতে চাইবে বা কবে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার হতে যাচ্ছে জানতে চাইবে। ”

 

ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক জোরদার হবে এমনটি জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যথেষ্ট সমালোচনা ছিল। আমি মনে করি, ট্রাম্প সেই বিষয়টা সামনে আনবে না বরং চেষ্টা থাকবে একটা অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে। এখন অপেক্ষা করতে হবে যে এটা (ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন) হলে তার কী প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের ওপর পড়বে।”

 

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, “যেহেতু সে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) ইউক্রেনের যুদ্ধের ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট ছিল এবং থামানোর ব্যাপার বারবার বলেছে সে থাকলে যুদ্ধ হতো না সেই জায়গায় একটা বড় পরিবর্তন আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আমার মনে হয় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

জনপ্রিয়

তীব্র তাপপ্রবাহের পর তেঁতুলিয়ায় স্বস্তির বৃষ্টি

দেশে নির্বাচনের ব্যাপারে তাগিদ থাকবে ট্রাম্পের: ইমতিয়াজ মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় ফেরার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের তাগিদ থাকবে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে এই ব্যাপারে তাগাদাও দিতে পারেন। এমনটাই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ।

 

এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, গত ২ সপ্তাহে আমরা দেখেছি যে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা চাচ্ছিল। সেই কারণে আমার মনে হয় রিপাবলিকান পার্টি বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পার্টির একটা তাগিদ থাকবে বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে।

 

ইমতিয়াজ আরও বলেন, “ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চেষ্টা করবে। এই কারণে হয়তো আমরা যে উৎসাহটা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের ব্যাপারে সেটা হয়তো ভাটা পড়বে বা অতটা উৎসাহ থাকবে না। তার (ডোনাল্ড ট্রাম্প) দিক থেকে চায়না, ভারত ও রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলোর বিষয়ে ব্যস্ত থাকবে।

 

সেই জায়গায় হয়তো বাংলাদেশ যে অ্যাটেনশনটা চেয়েছিল সেটা নাও পেতে পারে। তাই আমাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে সেটা বলা মুশকিল। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি মনে করি যে তারা হয়তো তাড়াতাড়ি রোডম্যাপ দেখতে চাইবে বা কবে বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার হতে যাচ্ছে জানতে চাইবে। ”

 

ভারতের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক জোরদার হবে এমনটি জানিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গণতান্ত্রিক চর্চা নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যথেষ্ট সমালোচনা ছিল। আমি মনে করি, ট্রাম্প সেই বিষয়টা সামনে আনবে না বরং চেষ্টা থাকবে একটা অর্থনৈতিক কাঠামো তৈরি করতে। এখন অপেক্ষা করতে হবে যে এটা (ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন) হলে তার কী প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের ওপর পড়বে।”

 

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, “যেহেতু সে (ডোনাল্ড ট্রাম্প) ইউক্রেনের যুদ্ধের ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট ছিল এবং থামানোর ব্যাপার বারবার বলেছে সে থাকলে যুদ্ধ হতো না সেই জায়গায় একটা বড় পরিবর্তন আসার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ফিলিস্তিনের ব্যাপারে আমার মনে হয় একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।”