বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশের বিভিন্ন জেলার মতো পিরোজপুরেও সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। ফলে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে ভারি বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে বেড়ি বাঁধের বাহিরে অনেক অস্থায়ী ছোট ছোট স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৬ কিলোমিটার।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ছয় ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। আর নিম্নচাপের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট। ফলে নিম্নাঞ্চলসহ বাইরের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ইন্দুরকানী উপজেলার টগড়া গ্রামের মহারাজ হাওলাদর বলেন, কচা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে বাড়িঘরের আশপাশ তলিয়ে গেছে। এই পানি স্থায়ী হলে বড় ধরনের বিপদের শঙ্কা আছে।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন বলেন, পিরোজপুরের নদীর পানি বিপদসীমার ১০-১২ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আশা করি, ভাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি কমতে শুরু করবে। বৃষ্টি এখন কমে গেছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে।