ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী এসএসসি পরবর্তী সময়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থীর দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স শুরু বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নতুন প্রজন্ম গড়তে শিক্ষা পরিবেশ উন্নয়নের তাগিদ সোমবার থেকে দ্বিতীয় ধাপের রাজনৈতিক সংলাপ শুরু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল রোববার দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগে উন্নতি হয়েছে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত মে মাসে নারী-শিশু নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক: এমএসএফ প্রতিবেদন জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় সিলেটে সিসিকের কন্ট্রোল রুম চালু কুষ্টিয়ায় নারী ও শিশুসহ ৯ বাংলাদেশিকে পুশইন করলো বিএসএফ রাতে লিচু খাওয়া: উপকারিতা ও সতর্কতা

আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক চিরকালের

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন পরবর্তী বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব বলেন জামায়াতের আমির।

ফিলিস্তিনের পাশে থাকার জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশ সরকারকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

জামায়াতের আমির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ ফিলিস্তিনের সঙ্গে সারাবিশ্বের মুসলমানদের মতো আমাদেরও আন্তরিক সম্পর্ক এবং সেটা চিরকালের সম্পর্ক। এটা আজীবন থাকবে ইনশাআল্লাহ। ফিলিস্তিন এই মুহুর্তে সবচেয়ে নির্যাতিত একটি দেশ এবং তাদের ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার চলছে। সেখানে শহীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মানুষ দল মত নির্বিশেষে সবাই ফিলিস্তেরে পাশে ইনশাআল্লাহ।

আমরা সে কথাটাই তাদেরকে জানিয়েছি যে, আমাদের দোয়া ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থন সবকিছুই আমাদের সামথ্যের ভেতরে থাকবে ইনশআল্লাহ। আমরা চাই ফিলিস্তিন একটা জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক। কারণ এই জায়াগাটা হচ্ছে অসংখ্য নবী-পয়গম্বরের জন্মস্থান। তার বুকেই রয়েছে বায়তুল মুকাদ্দাস যেটা ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই জায়গাটাকে স্মরণ করছি। সেখানর বঞ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত ভাইবোনদের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা, যারা নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। যারা আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন আল্লাহ যেন তাদেরকে সুস্থতার নেয়ামত দান করুন।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি জামায়াতের আমিরসহ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। বিষয়টি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ফিলিস্তিনি এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পবিত্র ভূমির পক্ষে জানাতে চাই যে, গাজায় কী বর্বরতা চালানো হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা চেয়েছি। জামায়াতের আমির ফিলিস্তিনীদের পক্ষে যে কোনো রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সম্পর্কন্নোয়নে আমাদের যাত্রা শুরু হলো যা, আরও বহুদূর যাবে।

জনপ্রিয়

জুলাই-আগস্ট স্মৃতি জাদুঘর করবে সরকার: ফারুকী

আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক চিরকালের

প্রকাশিত: ০৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন পরবর্তী বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সালেহ ওয়াই রামাদান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব বলেন জামায়াতের আমির।

ফিলিস্তিনের পাশে থাকার জন্য জামায়াতে ইসলামীসহ বাংলাদেশ সরকারকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।

জামায়াতের আমির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ ফিলিস্তিনের সঙ্গে সারাবিশ্বের মুসলমানদের মতো আমাদেরও আন্তরিক সম্পর্ক এবং সেটা চিরকালের সম্পর্ক। এটা আজীবন থাকবে ইনশাআল্লাহ। ফিলিস্তিন এই মুহুর্তে সবচেয়ে নির্যাতিত একটি দেশ এবং তাদের ওপর দিনের পর দিন অত্যাচার চলছে। সেখানে শহীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মানুষ দল মত নির্বিশেষে সবাই ফিলিস্তেরে পাশে ইনশাআল্লাহ।

আমরা সে কথাটাই তাদেরকে জানিয়েছি যে, আমাদের দোয়া ভালোবাসা, সহযোগিতা ও সমর্থন সবকিছুই আমাদের সামথ্যের ভেতরে থাকবে ইনশআল্লাহ। আমরা চাই ফিলিস্তিন একটা জাতি রাষ্ট্র হিসেবে পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে বিশ্বের বুকে দাঁড়াক। কারণ এই জায়াগাটা হচ্ছে অসংখ্য নবী-পয়গম্বরের জন্মস্থান। তার বুকেই রয়েছে বায়তুল মুকাদ্দাস যেটা ছিল মুসলমানদের প্রথম কিবলা। আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে সেই জায়গাটাকে স্মরণ করছি। সেখানর বঞ্চিত, ক্ষতিগ্রস্ত ভাইবোনদের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা, যারা নিহত হয়েছেন আল্লাহ তাদেরকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন। যারা আহত হয়ে কাতরাচ্ছেন আল্লাহ যেন তাদেরকে সুস্থতার নেয়ামত দান করুন।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি জামায়াতের আমিরসহ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। বিষয়টি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন ফিলিস্তিনি এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পবিত্র ভূমির পক্ষে জানাতে চাই যে, গাজায় কী বর্বরতা চালানো হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগিতা চেয়েছি। জামায়াতের আমির ফিলিস্তিনীদের পক্ষে যে কোনো রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। সম্পর্কন্নোয়নে আমাদের যাত্রা শুরু হলো যা, আরও বহুদূর যাবে।