আজ সোমবার প্রকাশিত সর্বশেষ মুদ্রানীতি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ে পলিসি রেট বা নীতি হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এটি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে গত ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি আরও কমাতে পলিসি রেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যে। ডিসেম্বরে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় চাল, পেঁয়াজ ও আলুর মতো প্রধান পণ্যের দাম বাড়ছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আহসান এইচ মনসুর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদান করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংক তিনবার পলিসি রেট বা নীতি সুদহার (রেপো রেট) বাড়িয়েছে।
ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছিল, বাইরে থেকে অর্থায়ন কম থাকায় এবং ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় স্বল্পমেয়াদি নীতি কঠোর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে নতুন মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের কঠোরতা থেকে কিছুটা সরে এসেছে।