ঢাকা , সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

অ্যালকোহলে মৃত্যু বেড়েছে ইংল্যান্ডে

ইংল্যান্ডে অ্যালকোহল আসক্তির প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অ্যালকোহল সেবন করেন, যার ফলে অ্যালকোহলজনিত মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদ সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাজ্যে অ্যালকোহল সম্পর্কিত ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। ক্রমবর্ধমান এ সমস্যা মোকাবিলায় কৌশল পরিবর্তনের কথা বলছে বিশেষজ্ঞরা। তারা অ্যালকোহল ইন্ডাস্ট্রিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথাও বলছেন।

অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পানে মানুষের শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। বাসা বাধতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের রোগ। ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য এই পানীয় দায়ী। পাশাপাশি মানসিকতায় পরিবর্তন আনে অ্যালকোহল। এ ছাড়া ক্যানসারের জন্য দায়ী করা হয় এই পানীয়কে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে অ্যালকোহল সম্পর্কিত মৃত্যু বেড়েছে ৪২ দশমিক দুই শতাংশ; যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মৃত্যু বাড়লেও নিজেদের নাগরিকদের অ্যালকোহল বিমুখ করতে পারছে না ব্রিটিশ সরকার। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যালকোহলসেবীদের চিকিৎসা সেবাও কমিয়েছেন তারা।

অতিরিক্ত অ্যালকোহলসেবীদের জন্য ইউরোপজুড়ে রয়েছে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র। অঞ্চলটির মোট জনগণের ১১ শতাংশ এসব পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। কিন্তু ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে রয়েছে মাত্র এক শতাংশ। চিকিৎসার জন্য নিজেদের ওপর ভরসা রাখতে হয় অ্যালকোহলসেবীদের।

অ্যালকোহল সম্পর্কিত পরিবর্তনের কথা আগে থেকেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সিস্টেম পরিবর্তনের কথাও বলছেন তারা। পাশাপাশি পানীয়টি পান না করা এবং খারাপ দিকগুলো স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

জনপ্রিয়

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ সদস্যের ‘এনআইডি লকড’

অ্যালকোহলে মৃত্যু বেড়েছে ইংল্যান্ডে

প্রকাশিত: ০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

ইংল্যান্ডে অ্যালকোহল আসক্তির প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অ্যালকোহল সেবন করেন, যার ফলে অ্যালকোহলজনিত মৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদ সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাজ্যে অ্যালকোহল সম্পর্কিত ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলছে। ক্রমবর্ধমান এ সমস্যা মোকাবিলায় কৌশল পরিবর্তনের কথা বলছে বিশেষজ্ঞরা। তারা অ্যালকোহল ইন্ডাস্ট্রিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কথাও বলছেন।

অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পানে মানুষের শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। বাসা বাধতে থাকে বিভিন্ন প্রকারের রোগ। ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য এই পানীয় দায়ী। পাশাপাশি মানসিকতায় পরিবর্তন আনে অ্যালকোহল। এ ছাড়া ক্যানসারের জন্য দায়ী করা হয় এই পানীয়কে।

ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের তথ্যমতে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে অ্যালকোহল সম্পর্কিত মৃত্যু বেড়েছে ৪২ দশমিক দুই শতাংশ; যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।

মৃত্যু বাড়লেও নিজেদের নাগরিকদের অ্যালকোহল বিমুখ করতে পারছে না ব্রিটিশ সরকার। এমনকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যালকোহলসেবীদের চিকিৎসা সেবাও কমিয়েছেন তারা।

অতিরিক্ত অ্যালকোহলসেবীদের জন্য ইউরোপজুড়ে রয়েছে সরকারি পুনর্বাসন কেন্দ্র। অঞ্চলটির মোট জনগণের ১১ শতাংশ এসব পুনর্বাসন কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা পেতে পারে। কিন্তু ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে রয়েছে মাত্র এক শতাংশ। চিকিৎসার জন্য নিজেদের ওপর ভরসা রাখতে হয় অ্যালকোহলসেবীদের।

অ্যালকোহল সম্পর্কিত পরিবর্তনের কথা আগে থেকেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। সিস্টেম পরিবর্তনের কথাও বলছেন তারা। পাশাপাশি পানীয়টি পান না করা এবং খারাপ দিকগুলো স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।