রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রংপুর ও বরিশালে বিএনপির কর্মশালায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “দেশকে গড়তে হলে দল মত নির্বিশেষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ১৫ বছর জোর করে ক্ষমতায় থেকে লুটপাটের রাজত্ব করা স্বৈরাচারের মতো হবেন না আপনারা। তাই জনগণের অপ্রত্যাশিত কাজ থেকে বিরত থাকুন। একই সাথে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে কর্মীদের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।”
এ সময় বিগত সময়ে স্বৈরাচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ধর্মকে ব্যবহার করেছে দাবি করে বিএনপি সরকার গঠন করলে স্ব স্ব ধর্ম পালনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার কথা জানান তারেক রহমান।
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে ৩১ দফা কর্মসূচি শুধু বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষের জন্য। তাই দেশের মানুষের মধ্যে ৩১ দফা গেঁথে দিতে ইউনিট পর্যায়েও ছোট ছোট কর্মশালা করার নির্দেশনা দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, “গ্রাম পর্যায়ে জনসংখ্যা অনুপাতে দুই থেকে তিনজন করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের প্রশিক্ষিত পল্লী চিকিৎসক স্বাস্থসেবার জন্য নিয়োগ করা হবে। একই সাথে স্বাস্থ্য বিষয়ে গণসচেতনতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বিএনপি। এ লক্ষ্যে তার দল ক্ষমতায় গেলে সারাদেশে ৭০ হাজার নারী পল্লী চিকিৎসকসহ মোট এক লক্ষ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।”
এ ছাড়াও বেকার সমস্যা দূরীকরণে এসএসসির পর থেকে কারিগারি শিক্ষায় শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রংপুরে শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু।
এর আগে সকাল থেকে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মশালায় দলের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল ৩১ দফা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
দিনব্যাপী এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ফারজানা সারমিন পিতুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালায় রংপুর বিভাগের নেট স্ত্রী বিন্দু ছাড়াও একই সাথে বরিশাল অঞ্চলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।