ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তামিলনাড়ুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ,প্রায় ৫০০ প্রেপ্তার।

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ১০০ নারীসহ প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার চেন্নাইয়ের রাজা রথিনাম স্টেডিয়ামের সামনে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), হিন্দু মুন্নানি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সমর্থকরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন হিন্দু মুন্নানি সংগঠনের প্রধান রাজু। এ বিক্ষোভে সাবেক গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দরাজান, আরএসএস কর্মী কেশভা বিনয়াগম, বিজেপি নেতা কারু নাগরাজন ও ভিপি দুরাইসামিসহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চেন্নাইয়ে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন চালু করা হয়। এটি উপকূলবর্তী অলওয়ারপেটে অবস্থিত, যা বিক্ষোভস্থল রাজা রথিনাম স্টেডিয়াম থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে। তবে বিক্ষোভকারীরা উপহাইকমিশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি বলে জানিয়েছেন এক স্থানীয় সাংবাদিক।

এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “বিক্ষোভকারীরা অনুমতি ছাড়া জমায়েত করেছিল এবং আইন ভঙ্গের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বিক্ষোভের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো না হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে করা হতে পারে।

বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।

জনপ্রিয়

তামিলনাড়ুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ,প্রায় ৫০০ প্রেপ্তার।

প্রকাশিত: ১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রাজধানী চেন্নাইয়ে বাংলাদেশবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ১০০ নারীসহ প্রায় ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার চেন্নাইয়ের রাজা রথিনাম স্টেডিয়ামের সামনে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভে অংশ নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস), হিন্দু মুন্নানি এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সমর্থকরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন হিন্দু মুন্নানি সংগঠনের প্রধান রাজু। এ বিক্ষোভে সাবেক গভর্নর তামিলিসাই সৌন্দরাজান, আরএসএস কর্মী কেশভা বিনয়াগম, বিজেপি নেতা কারু নাগরাজন ও ভিপি দুরাইসামিসহ একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চেন্নাইয়ে কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ উপহাইকমিশন চালু করা হয়। এটি উপকূলবর্তী অলওয়ারপেটে অবস্থিত, যা বিক্ষোভস্থল রাজা রথিনাম স্টেডিয়াম থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে। তবে বিক্ষোভকারীরা উপহাইকমিশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি বলে জানিয়েছেন এক স্থানীয় সাংবাদিক।

এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, “বিক্ষোভকারীরা অনুমতি ছাড়া জমায়েত করেছিল এবং আইন ভঙ্গের দায়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

বিক্ষোভের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো না হলেও স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে করা হতে পারে।

বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।