কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিউল আজম খান জানিয়েছেন, মহেশখালীতে এলএনজিবাহী জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাসের চাপ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এতে শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে এবং ধাপে ধাপে আবাসিক এলাকাতেও গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, সাগর শান্ত না হওয়া পর্যন্ত এলএনজিবাহী বিশেষায়িত জাহাজ থেকে গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে না। যেখানে প্রতিদিন ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ হতো, সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় মাত্র ১৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়েছে। সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
বিজিএমইএ পরিচালক ও ক্লিফটন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে কারখানাগুলোতে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে এবং বিকেলের পর গ্যাস ছিল না বললেই চলে। এই আকস্মিক সংকটে উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।’
অন্য একজন বিজিএমইএ পরিচালক রাকিবুল আলম চৌধুরী জানান, গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ার কারণে কর্ণফুলী গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, সাগরের উত্তাল আবহাওয়ার কারণে বিশেষায়িত জাহাজ থেকে গ্যাস নেওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বুধবার (১৮ জুন) দুপুর থেকে নগরীর শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের কারণে মহেশখালীতে এলএনজি সরবরাহ স্থগিত হওয়ায় চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে।