ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্থগিতের পর পাকিস্তান দ্রুত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে

ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর দিয়ামার-ভাশা বাঁধসহ পাকিস্তান সমস্ত জলবিদ্যুৎ-সম্পর্কিত প্রকল্প দ্রুত শেষ করবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল।

শনিবার (২৪ মে) তিনি এ কথা জানান।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খামারগুলোকে ভাটিতে পানি সরবরাহ করে এমন একটি প্রধান নদী থেকে ভারত নাটকীয়ভাবে পানি সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।

২২ এপ্রিল অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভারত এই পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

হামলার পর, নয়াদিল্লি ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে।

এদিকে, পাকিস্তান পহেলগাম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এরপর কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের পর ১০ মে দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তা সত্ত্বেও চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হয়নি।

ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তানের (আইইপি) সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আমির জমিরের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পানি আগ্রাসনের আলোকে এই প্রকল্পগুলোর কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী পানি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তহবিল বরাদ্দ করা হবে।’

অন্যদিকে, পরিকল্পনামন্ত্রী ইকবাল স্পষ্ট করে বলেন, ‘আসন্ন ফেডারেল বাজেটে বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর এবং ঈদের ছুটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কোনো চাপের কারণে নয়।’

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, যেসব নদীর ওপর ভারতের অধিকার আছে, সেখান থেকে পাকিস্তান পানি পাবে না।

কিন্তু আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই মন্তব্যকে পাগলামিপূর্ণ চিন্তাভাবনা বলে উড়িয়ে দেন।

জনপ্রিয়

ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্থগিতের পর পাকিস্তান দ্রুত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে

প্রকাশিত: ৮ ঘন্টা আগে

ভারত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার পর দিয়ামার-ভাশা বাঁধসহ পাকিস্তান সমস্ত জলবিদ্যুৎ-সম্পর্কিত প্রকল্প দ্রুত শেষ করবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল।

শনিবার (২৪ মে) তিনি এ কথা জানান।

সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খামারগুলোকে ভাটিতে পানি সরবরাহ করে এমন একটি প্রধান নদী থেকে ভারত নাটকীয়ভাবে পানি সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে।

২২ এপ্রিল অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর হামলার প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ভারত এই পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

হামলার পর, নয়াদিল্লি ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে।

এদিকে, পাকিস্তান পহেলগাম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এরপর কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ের পর ১০ মে দুই পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তা সত্ত্বেও চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত হয়নি।

ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তানের (আইইপি) সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আমির জমিরের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের পানি আগ্রাসনের আলোকে এই প্রকল্পগুলোর কাজকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদী পানি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এই ধরনের উদ্যোগের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তহবিল বরাদ্দ করা হবে।’

অন্যদিকে, পরিকল্পনামন্ত্রী ইকবাল স্পষ্ট করে বলেন, ‘আসন্ন ফেডারেল বাজেটে বিলম্ব হওয়ার কারণ প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর এবং ঈদের ছুটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কোনো চাপের কারণে নয়।’

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত সপ্তাহে বলেছিলেন যে, যেসব নদীর ওপর ভারতের অধিকার আছে, সেখান থেকে পাকিস্তান পানি পাবে না।

কিন্তু আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী এই মন্তব্যকে পাগলামিপূর্ণ চিন্তাভাবনা বলে উড়িয়ে দেন।