ঢাকা , রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের গুজরাটে কয়েক’শ ‘বাংলাদেশি’ আটকের দাবি

ভারতের গুজরাট রাজ্যে কয়েকশ (সাড়ে ৫০০) কথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করার দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। গুজরাট পুলিশ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। আটকদের কারও কাছেই বৈধ কোনও নথিপত্র নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিসিসি সাড়ে ৫০০ গ্রেফতারের খবর দিলেও ভারতের অনেক গণমাধ্যমের দাবি গ্রেফতারের সংখ্যা এক হাজার।

গুজরাট পুলিশ সুত্রে ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে সাড়ে ৫০০ তথাকথিত বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে এসেছিলেন। গুজরাটে তারা নানা ধরণের কাজকর্ম করছিলেন। তবে কারও কাছেই বৈধ কোনও নথিপত্র ছিল না। তাই সকলকে আটক করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে ৫ আগষ্টের হাসিনা দিল্লি পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, নেতাসহ কয়েকশ অপরাধী ভারতে পালিয়ে গেছে। তারা সেখানে বিলাসী জীবন যাপন করলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আহমদাবাদে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছিল ভোর ৩টায়। ডিসিপি অজিত রজিয়ানকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চান্দোলা এলাকা থেকে ৪০০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। স্থানীয় কয়েক’টি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা শুরু করেছে পুলিশ।

এই দফায় প্রথম গুজরাটের আহমদাবাদে শুক্রবার এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই একশোর বেশি ‘বাংলাদেশি’কে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনুপ্রবেশকারীর খবর পেয়েছে পুলিশ। সুরাটেও অভিযান শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতে। শনিবার সকালেও অভিযান জারি রয়েছে। রাজ্যটির অন্যান্য জায়গাতেও শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার সকালেও অভিযান জারি রয়েছে। রাজ্যটির অন্যান্য জায়গায়ও ধরপাকড় চলছে।

জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুপ্রবেশকারী সংক্রান্ত দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তখনই ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গুজরাট তো বটেই, দিল্লিতেও ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষ পাচারের বড় চক্রগুলিকে ধরার চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।

জনপ্রিয়

ভারতের গুজরাটে কয়েক’শ ‘বাংলাদেশি’ আটকের দাবি

প্রকাশিত: ১৭ ঘন্টা আগে

ভারতের গুজরাট রাজ্যে কয়েকশ (সাড়ে ৫০০) কথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করার দাবি করেছে সেখানকার পুলিশ। গুজরাট পুলিশ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। আটকদের কারও কাছেই বৈধ কোনও নথিপত্র নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিসিসি সাড়ে ৫০০ গ্রেফতারের খবর দিলেও ভারতের অনেক গণমাধ্যমের দাবি গ্রেফতারের সংখ্যা এক হাজার।

গুজরাট পুলিশ সুত্রে ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, অবৈধ ভাবে সাড়ে ৫০০ তথাকথিত বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে এসেছিলেন। গুজরাটে তারা নানা ধরণের কাজকর্ম করছিলেন। তবে কারও কাছেই বৈধ কোনও নথিপত্র ছিল না। তাই সকলকে আটক করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে ৫ আগষ্টের হাসিনা দিল্লি পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, এমপি, নেতাসহ কয়েকশ অপরাধী ভারতে পালিয়ে গেছে। তারা সেখানে বিলাসী জীবন যাপন করলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আহমদাবাদে অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছিল ভোর ৩টায়। ডিসিপি অজিত রজিয়ানকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, চান্দোলা এলাকা থেকে ৪০০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। স্থানীয় কয়েক’টি সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা শুরু করেছে পুলিশ।

এই দফায় প্রথম গুজরাটের আহমদাবাদে শুক্রবার এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। প্রথম কয়েক ঘণ্টাতেই একশোর বেশি ‘বাংলাদেশি’কে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনুপ্রবেশকারীর খবর পেয়েছে পুলিশ। সুরাটেও অভিযান শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতে। শনিবার সকালেও অভিযান জারি রয়েছে। রাজ্যটির অন্যান্য জায়গাতেও শুক্রবার রাতে অভিযান চালানো হয়েছে। শনিবার সকালেও অভিযান জারি রয়েছে। রাজ্যটির অন্যান্য জায়গায়ও ধরপাকড় চলছে।

জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এপ্রিলে অনুপ্রবেশকারী সংক্রান্ত দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। তখনই ১২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৭৭ জনকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে গুজরাট তো বটেই, দিল্লিতেও ‘বাংলাদেশি’ অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে আটক এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানুষ পাচারের বড় চক্রগুলিকে ধরার চেষ্টা করছে ভারতের পুলিশ।