শুক্রবার বিজেএসএর সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে জানান, রাজশাহীর ঘটনার পর বিচারকদের নিরাপত্তা প্রশ্নে আর কোনো গাফিলতি মেনে নেওয়া হবে না। তাঁরাই জানান, এ হত্যাকাণ্ডের আগেও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কাছে বিচারকদের জন্য নিরাপত্তা জোরদারের অনুরোধ করেছে, কিন্তু কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
গতকাল রাজশাহীর মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলে তাওসিফ রহমান সুমনকে (নবম শ্রেণি) হত্যা করা হয়। হামলায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার আহত হন। গ্রেপ্তার তরুণ লিমন মিয়া আগেই পরিবারটিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠে। ঘটনাটি বিচারক সমাজকে ব্যাপকভাবে নাড়া দিয়েছে।
বিজেএসএর বিবৃতিতে বলা হয়, বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার আসামিকে আইনবহির্ভূতভাবে মিডিয়ার সামনে হাজির করে ‘অপেশাদার আচরণ’ দেখানোর অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা দাবি করা হয়।
বিচারকদের নিরাপত্তাহীনতার চিত্র তুলে ধরে সংগঠনটি জানায়, দেশের প্রায় সব আদালত, ট্রাইব্যুনাল, বিচারকের বাসা ও অফিসে যথাযথ নিরাপত্তা নেই। জেলা পর্যায়ের বহু বিচারককে সরকারি আবাসন বা গাড়ি ছাড়া অরক্ষিত ভাড়া বাসায় থাকতে হয়; অনেককে রিকশা, ভ্যান কিংবা পায়ে হেঁটে অফিসে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগের দায়িত্ব পালন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
অ্যাসোসিয়েশন নিহত তাওসিফ রহমান সুমনের নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে। তারা জানায়, প্রকাশ্যে বিচারক পরিবারের ওপর এমন হামলায় বিচার বিভাগ আজ শোকাহত ও স্তম্ভিত।
পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা এখন সরকারের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে—যা দেশের বিচারব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
ডেস্ক রিপোর্ট