সরকারের বেঁধে দেওয়া ডিমের দাম মানছেন না ব্যবসায়ীরা, ফলে ডিমের দাম আবার বেড়ে গেছে। সরকার গত ১৫ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে ডিমের দাম প্রতি পিস ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করলেও বর্তমানে বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ টাকায় পৌঁছেছে। ক্রেতাদের মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ থাকলেও বিক্রেতারা তা উপেক্ষা করছেন। দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ক্রেতাদের পড়তে হচ্ছে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন, সরকারী কর্মকর্তারা অফিসে বসে যে দাম নির্ধারণ করেছেন, তা বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। তাদের মতে, দেশের বাজারে মুরগির খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে খামারে ডিমের উৎপাদনও কমে গেছে। এর ফলে বাজারে সরবরাহ হ্রাস পেয়েছে, যা ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার রাজধানীর মিপুর, কাজিপাড়া এবং কাওরান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব স্থানে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের প্রতি ডজন দাম ১৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এই ডিমের দাম ছিল ১৬০ টাকা। অন্যদিকে, ফার্মের সাদা ডিমও বেশিরভাগ বাজারে প্রতি ডজন ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যদিও কিছু স্থানে ৫ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে সাদা ডিমের দাম ছিল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় ধরনের ডিমের দাম ১০ টাকা করে বেড়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন বাদামি ডিম ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ২৮ টাকা বেশি। পিস হিসেবে (এক ডজনের কম) কেনার ক্ষেত্রে দাম ১৫ টাকা, যা ডজন হিসেবে ১৮০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। ভোক্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ডিমের দাম নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেকেই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘ব্যর্থ’ বলেও সমালোচনা করছেন।
সার্বিকভাবে, ডিমের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তাদের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।