ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, সন্ধ্যায় মৃত্যু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এজাজ আহমেদ (৩২) নামের এক আসামি মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শনিবার সন্ধ্যার সময় তিনি মারা যান। এজাজ আহমেদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর এজাজ আহমেদের বার এট ল করার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল।

এজাজ আহমেদের বাবা শাহ আলমের অভিযোগ, গত ১০ মার্চ যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তাঁর ছেলেকে হাজারীবাগ থেকে আটক করে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর থানার একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তখন এজাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন তিনি জামিনে ছাড়া পেলে তাঁকে ধানমন্ডির জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পুলিশ গতকাল শুক্রবার ভোরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে যায়। আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এজাজের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগে এজাজের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। সেই মামলায় গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে এজাজের বাবা শাহ আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আগের দফায় তাঁর ছেলেকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে। এ জন্য তাঁর ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজ মারা গেলেন।

তবে এজাজের বাবার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, এজাজ আহমেদ ধানমন্ডি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী ছিলেন। ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনী এজাজকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। থানায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। এজাজ আহমেদকে কোনো ধরনের নির্যাতন করেনি পুলিশ। বরং গতকাল ডিবির সহযোগিতায় জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আজ ভোরে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগে থেকে কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন এজাজ। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি, সন্ধ্যায় মৃত্যু

প্রকাশিত: ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার এজাজ আহমেদ (৩২) নামের এক আসামি মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ শনিবার সন্ধ্যার সময় তিনি মারা যান। এজাজ আহমেদের মরদেহ রাখা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর এজাজ আহমেদের বার এট ল করার জন্য লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল।

এজাজ আহমেদের বাবা শাহ আলমের অভিযোগ, গত ১০ মার্চ যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তাঁর ছেলেকে হাজারীবাগ থেকে আটক করে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর থানার একটি ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় তাঁকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। তখন এজাজ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরদিন তিনি জামিনে ছাড়া পেলে তাঁকে ধানমন্ডির জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু পুলিশ গতকাল শুক্রবার ভোরে তাঁকে আবার ধরে নিয়ে যায়। আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এজাজের মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার অভিযোগে এজাজের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। সেই মামলায় গতকাল রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে এজাজের বাবা শাহ আলম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আগের দফায় তাঁর ছেলেকে যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে। এ জন্য তাঁর ছেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে আজ মারা গেলেন।

তবে এজাজের বাবার এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান। তিনি বলেন, এজাজ আহমেদ ধানমন্ডি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী ছিলেন। ডাকাতির প্রস্তুতি মামলায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি যৌথ বাহিনী এজাজকে গ্রেপ্তার করে তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। থানায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে। এজাজ আহমেদকে কোনো ধরনের নির্যাতন করেনি পুলিশ। বরং গতকাল ডিবির সহযোগিতায় জাপান–ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে আজ ভোরে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগে থেকে কিডনির রোগে আক্রান্ত ছিলেন এজাজ। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।