ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকার বরাদ্দ

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির জন্য মূল বাজেট ছিল ৪০ হাজার ৮২ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমে ৩৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।

 

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় এই বরাদ্দের কথা জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তার বাজেট বক্তৃতা সম্প্রচার করা হয়।

 

সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে নেমে আসে ৩৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকায়।

 

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাজেটের আকার হ্রাস পেয়েছে।

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন—এই বিষয়গুলো এবারের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

 

সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট ঘিরে কোনো সংসদীয় আলোচনা হবে না। তবে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাজেটটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকার বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৩৮ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়টির জন্য মূল বাজেট ছিল ৪০ হাজার ৮২ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে কমে ৩৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়।

 

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় এই বরাদ্দের কথা জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে তার বাজেট বক্তৃতা সম্প্রচার করা হয়।

 

সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে এই বিভাগের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে নেমে আসে ৩৯ হাজার ২৩৯ কোটি টাকায়।

 

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের (৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা) তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বাজেটের আকার হ্রাস পেয়েছে।

 

২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৩.৬২ শতাংশ। এ ঘাটতি পূরণে সরকার বৈদেশিক ঋণ, ব্যাংক ঋণ ও সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভর করবে।

 

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিস্তার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অবকাঠামো উন্নয়ন—এই বিষয়গুলো এবারের বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

 

সংসদ না থাকায় এবারের বাজেট ঘিরে কোনো সংসদীয় আলোচনা হবে না। তবে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে এবং উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাজেটটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।