বগুড়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শহর যুবলীগ নেতা আব্দুল মতিন সরকারকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (২১ জুন) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া ডিবি পুলিশের ওসি ইকবাল বাহার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর থেকে মতিন সরকার আত্মগোপনে চলে যান। ঢাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করছিলেন তিনি।
তাকে নিয়ে চলমান মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জড়িত হয়ে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ। এর আগে গত ১১ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালত তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ২৮ লাখ ৩১ হাজার ৩১৫ টাকা জরিমানা করে।
আব্দুল মতিন সরকার ও তার ছোট ভাই তুফান সরকার একসময় বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগ ছাড়াও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক হত্যা মামলা।
ইতিপূর্বে একটি অস্ত্র মামলায় মতিন সরকারের ২০ বছরের সাজা হয়, যার বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে আলোচিত ‘তুফানকাণ্ডে’ এক কিশোরীকে ধর্ষণ এবং তার ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করার ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই ঘটনায় পুলিশ তুফান সরকারকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই মতিন সরকার গা ঢাকা দেন।
ঘটনার পর শ্রমিক লীগের বগুড়া শহর কমিটির আহ্বায়ক পদ থেকে তুফান সরকার ও শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মতিন সরকারকে বহিষ্কার করা হয়।