ঢাকা , সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি ইরানের তিন পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা যুদ্ধের শুরু: হুতির হুঁশিয়ারি হাজারীবাগে ট্যানারির গুদামে আগুন দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মতিন সরকার রাজধানী থেকে গ্রেফতার অর্থ সংকটে বন্ধ হয়ে গেল উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে রোববার ড. ইউনূসের ওপর ফিনল্যান্ড সরকারের নিষেধাজ্ঞার দাবি ভুয়া: রিউমার স্ক্যানার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকার: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার মৎস্য উন্নয়নে ৫৬ জেলায় মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার

বাবাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন ছেলে

রজ্জব আলী (৬০) ভ্যান চালানোর পাশাপাশি একটি পুকুরের পাহারাদার ছিলেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পাহারা দেওয়া পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার আড়াইমাস পর তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি- ক্ষোভ থেকে পরিকল্পনা করে রজ্জবকে হত্যা করেন তারই ছেলে। বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছেলেকে। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

রজ্জব আলীর মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস ২৪ দিন পর শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহীন মণ্ডল (৩৮)। তিনি রজ্জব আলীর ছেলে। শাহীন কালাই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জেলা পুলিশ জানায়, রজ্জব আলী পেশায় একজন ভ্যানচালক। পাশাপাশি তিনি রাতে পুকুর পাহারা দিতেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে পুকুর পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি হতে বের হন। তিনি বড়পুকুর বলিগ্রাম পশ্চিমপাড়া যান। পরদিন রজ্জব আলীর মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। রজ্জবের ভাই আব্দুল ছামাদ মণ্ডল পুকুরের পানি থেকে মরদেহটি পুকুর পাড়ে তোলেন। তাৎক্ষণিক মনে করা হয় রাতে পুকুর পাহারার সময় পানিতে পড়ে অজ্ঞাত কারণে রজ্জব মারা যেতে পারেন। সেই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।

পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় অন্য কোনো দুর্ঘটনায় রজ্জব আলী মারা যাননি। বিষয়টি পরিবারকে জানালে রজ্জবের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে রজ্জবের ছেলে শাহীন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে বাবার প্রতি শাহীনের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভ থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবাকে হত্যা করে শাহীন। পরে হত্যাকাণ্ড গোপন করার উদ্দেশ্যে মরদেহ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান। শাহীনকে আদালতে নেওয়া হলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।

কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রজ্জব আলীর প্রতি তার ছেলে শাহীনের ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে বাবাকে হত্যা করে পুকুরে পানিতে ফেলে তিনি পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আগের সতর্কবার্তা স্মরণ করালেন খামেনি

বাবাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেন ছেলে

প্রকাশিত: ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

রজ্জব আলী (৬০) ভ্যান চালানোর পাশাপাশি একটি পুকুরের পাহারাদার ছিলেন। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর পাহারা দেওয়া পুকুরে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনার আড়াইমাস পর তার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি- ক্ষোভ থেকে পরিকল্পনা করে রজ্জবকে হত্যা করেন তারই ছেলে। বাবা হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ছেলেকে। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।

রজ্জব আলীর মরদেহ উদ্ধারের দুই মাস ২৪ দিন পর শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহীন মণ্ডল (৩৮)। তিনি রজ্জব আলীর ছেলে। শাহীন কালাই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা।

জেলা পুলিশ জানায়, রজ্জব আলী পেশায় একজন ভ্যানচালক। পাশাপাশি তিনি রাতে পুকুর পাহারা দিতেন। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে পুকুর পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি হতে বের হন। তিনি বড়পুকুর বলিগ্রাম পশ্চিমপাড়া যান। পরদিন রজ্জব আলীর মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। রজ্জবের ভাই আব্দুল ছামাদ মণ্ডল পুকুরের পানি থেকে মরদেহটি পুকুর পাড়ে তোলেন। তাৎক্ষণিক মনে করা হয় রাতে পুকুর পাহারার সময় পানিতে পড়ে অজ্ঞাত কারণে রজ্জব মারা যেতে পারেন। সেই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়।

পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় অন্য কোনো দুর্ঘটনায় রজ্জব আলী মারা যাননি। বিষয়টি পরিবারকে জানালে রজ্জবের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ১০ ফেব্রুয়ারি থানায় হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে রজ্জবের ছেলে শাহীন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে বাবার প্রতি শাহীনের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভ থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবাকে হত্যা করে শাহীন। পরে হত্যাকাণ্ড গোপন করার উদ্দেশ্যে মরদেহ পুকুরে ফেলে পালিয়ে যান। শাহীনকে আদালতে নেওয়া হলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।

কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রজ্জব আলীর প্রতি তার ছেলে শাহীনের ক্ষোভ ছিল। ক্ষোভ থেকেই পরিকল্পনা করে বাবাকে হত্যা করে পুকুরে পানিতে ফেলে তিনি পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।